নতুন করে স্বপ্ন দেখা
সকাল সকাল ঠাকুর ঘরে গিয়ে পূজোয় বসেছেন তপতী
আজকে যে রথযাত্রা। হঠাৎ করে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বুকু, ঠাম তুমি আমার সাথে রথ টানবে তো। ওরে ছাড় ছাড় আগে পূজোটা শেষ করি, আর রথ তো বিকালের আগে টানা হবেনা। রাশভারী তপতী তাঁর আড়াই বছরের নাতনীর কাছে জব্দ।তার সব বায়না ঠামের কাছে। বৌমা এসে বুকু কে নিয়ে যায়।
পূজা করতে করতে মন চলে যায় সময় সরনী ধরে অনেক বছর পিছিয়ে, স্মৃতি ঘিরে ধরে চারিপাশ,তখন তপতী দেবী ছিলেন বাড়ির সবার প্রিয় তপু, সব্বাই এর নয়নের মণি। এই রথযাত্রার দিন তপু তার রথ সাজিয়ে বের করবে। তার দাদুরা তিনভাই, তিন দাদুভাই আর ঠাকুমার সাথে হৈহৈ করে রথ টানা, তারপর কার সঙ্গে তপু মেলা দেখতে যাবে সেই নিয়ে প্রচুর পরিমাণে ঝামেলার শেষে একসাথে সবাই মিলে মেলায় গিয়ে খুব মজা করা। উফফফ, কত কিছু খাওয়া,কেনা , তবু যেন মন ভরতো না।
মা এবার উঠুন অনেকক্ষণ ধরে বসে আছেন ঠাকুরের সামনে…. বৌমার ডাকে বাস্তবের মাটি তে পা রাখলেন তপতী দেবী… চুপি কথায় স্মৃতি আঁকা শেষ হলো তাঁর.. তাঁকে সামলে রাখার হাতগুলো আজ দূরের তারার দেশে, তিনিই যে আজ সবার অবলম্বন।
দেখো ঠাম কেমন রথ সাজানো হয়েছে, ঝকঝকে চোখে তাকিয়ে আছে বকু….. তপতী দেবী তার মধ্যে দেখতে পান,যেন তাঁরই প্রতিচ্ছবি,ঠাম আর নাতনী একসাথে বলে ওঠে জয় জগন্নাথ…….
নতুন করে নতুন স্বপ্নের জাল বুনতে থাকেন তপতী দেবী, তাঁর নাতনীকে সাথে নিয়ে।