” একটা তাজমহল গড়তে চেয়েছিলাম মনে মনে,
হয়তো হিরে পান্না চুনী পারবোনা খচিতে গুনে গুনে!!
অশ্রুত মুক্তো কিংবা হৃদয়ের প্রস্ফুটিত রক্ত গোলাপ গুলি,
খচিত করতে পারতাম হৃদয়ের বাগান হতে তুলি।
সাজিয়ে দিতাম অন্তরের আকুলতায় ভরে,
হৃদয়ে খুলে দিতাম সংশয় মুক্ত করে।
কখন হঠাৎ বিষাদ ছেয়ে যায় অতৃপ্ত অন্তরে,
কড়া নিকোটিন দগ্ধায় কেবল পাক খায় ঘুরে ঘুরে।
ফুসফুসে শুধু জমা হয় পোড়া নিকোটিনের স্তুপ,
অন্তর কেবলই পুড়িয়ে যায় সুগন্ধ ভরা ধূপ।
শুকায়ে যায় রক্ত গোলাপগুলি, অবহেলায় অনাদরে…
প্রেমের সমাধি হয় কখন যেন জীবন্ত কবর।
কেবল অন্তরে পক্ষাঘাতে ক্ষয় হয় অতৃপ্ত ভালবাসা,
তাজমহল গড়ার স্বপ্ন, সেতো অলিক প্রহসন দুরন্ত দূরাশা।
ঘোলাটে দৃষ্টি স্বপ্ন ভঙ্গ করে খুঁজে মরে কেবল আলোর আশা-
প্রেমের সমাধিতে অকারণে বাতি জ্বালা বৃথাই প্রত্যাশা।
নিকোটিনের ধোঁয়া কেবলই উদ্গিরণ করে কন্ঠ রোধ করে,
ভালবাসা, সেতো পরবাসে আজ, বেসাতি অন্য ঘরে।