আমার জনৈক বন্ধু, কাল রাত্রে কি দঃখে কি জানি
বিষ খেয়ে শুয়েছিল ; টেলিফোনে সে খবর শুনে
দেখতে গেলাম তার শেষ স্মৃতিচিত্র মুখখানি
মনে হল, নিজেকে সে সঁপেছিল বাঁচার আগুনে ।
দু’চোখে কিসের ক্ষুধা, যেন এক বিষন্ন নাবিক
সুদূর সমুদ্রপথে সামান্য তৃণের মতো একা
প্ৰচণ্ড ঝড়ের মুখে, অন্ধ চোখে ভুল করে দিক
চলেছে আর এক রাজ্যে, যে রাজত্ব এখনো অদেখা ।
ফিরে আসি নত মুখে, আমার নিভৃত ছোট ঘরে–
কি এক অদৃশ্য ভয়ে বারেবারে কেঁপে ওঠে বুক
নিজেকে সত্ত্বনা দিই, নির্জন হাওয়ার মতো স্বরে :
আমি তো প্রতিষ্ঠ আছি, স্থির, দূরলক্ষ্যে উন্মুখ ।
কৃপণের মতো আমি ধরে আছি। এই পৃথিবীকে
মুহুর্তের নানারূপ সৃষ্টি করি নিপুণ স্থপতি।
আমি তো এখনো ভাবি এ জীবন উদ্ভাসিত হবে দিকে দিকে
সমুদ্র আকাশ হবে, তৃণ হবে মহাবিনস্পতি ।