নীরা, তুমি আধো অন্ধকার এক ঝুল বারান্দায়
দাঁড়িয়ে রয়েছ একা, ঠিক একা নও
জোনাকির ঝিকিমিকি, গুপ্ত চোখ, ছোট ছোট চাওয়া
বড় ঢেউ ছোট ঢেউ বাতাসের কিংবা সমুদ্রের
বালির পাহাড় ভাঙে, স্নিগ্ধ উপত্যকা
দাঁড়িয়ে রয়েছ একা, ঠিক একা নও
তোমার শরীর ঘিরে এত উষ্ণ শ্বাস
কে ডেকেছে? চাঁদ নয়, একবার মুখটি ফেরালে
এদিকে নিছক নশ্বরতা, সভ্যতার শেষ, আর অন্য দিকে
দাউ দাউ অগ্নি। ঠিক রোমকূপে আগুন শরীর
আকাশের পেট চিরে জ্বলন্ত উল্কার ছোটাছুটি
নৈঃশব্দ্যের কথকতা, দেখা যায় না বুক থেকে বুকে
এত ঝড় বিনিময়, এক মৃত্যু থেকে
আর এক সুদূর যাত্রা, নীরা, তুমি একা
দাঁড়িয়ে রয়েছ চুপ, ঠিক একা নও, অন্ধকার মধ্যযামে
ছদ্মবেশী ক্রুবাদুর কোথাও পেয়েছে মরীচিকা
দু’হাতে আচমন করে রূপ, তার পদপ্রান্তে ধর্ম, অর্থ, কাম
নিরালার নারী, তুমি টের পাওনা স্তনাগ্রে সহসা
চিবুকে, ঊরুতে কোনো ব্যর্থ প্রেমিকের ছোঁয়া, কত যে সুদূর!