আমার সৌহার্দের পথগুলো আমি দেখি
দেখি নীল আকাশ, নীল শাড়ি, চুড়ি–
গ্রীবার নিপুণ ভঙ্গিমায় মুদ্রা তুলে আনে,
তবু দর্পণ সৌহার্দের প্রতিমকে গড়ে তোলে;
দর্পণের ফাটলের আড়ালে দাঁড়াই
তোমাকে না পাওয়ায় মতই তোমার প্রতিবিম্ব
নেচে যায়, নেচে যায় সহস্র ঠোঁট ভ্রুকুটি করে,
আমাকে দেখে নিজস্ব সটান ভঙ্গিমা বিচলিত
ছোটে; আকাশে ছোটে মেঘের মালা, সেই মেঘকে
ছোঁয়ার আগেই বৃষ্টি ঝ’রে পড়ে দর্পণে দর্পণে,
রামধনু খেলে যায় সাতরঙ থেকে চৌদ্দ
তারপর অজস্র, আসল রঙের মতই
খুঁজে পাইনা বাস্তব তোমাকে,
সহস্রতার মায়াজালে
হারিয়ে ফেলি তোমাকে; তার চেয়ে
এই ভালো, এসো দাঁড়াই মুখোমুখি
সব মায়াজাল চূর্ণ করে এসো দেখি
মৌলিক আমাদের নিজস্ব প্রতিম
নিখুঁত ভাবে দেখি ভ্রকুটি, ঘাম-তেল মুখ,
রক্ত প্রবাল ঠোঁট, চুলের ভাঁজ,গ্রীবার–
সটান ভঙ্গিমা!