ত্রিধারা -5
ছবিটা দেখে বললাম খুবই মিষ্টি। স্কুলে যাওনি আজ?
নাকি স্কুল ছুটি ছিল? নিশ্চয়ই দুপুরে ওখানেই
খাওয়া দাওয়া করলে?
হ্যাঁ হোম ডেলিভারি। স্কুলে গেলে আর হবে এসব?
মানে?
ঝাঁপিয়ে পড়লাম স্বর্গ সুখের সন্ধানে।
বিশ্বাস হয় না আমার।
হ্যাঁ বৌদি পেলে সুখে মন ভরে যায়। তাই তো আবেগে ভেসে দুপুরে দুজনেই ঘনিষ্ঠ হয়েছিলাম।কয়েক মূহুর্ত কোথায় যেন হারিয়ে গেছিলাম।
অবাক হয়ে প্রশ্ন করি, একেবারে ঘনিষ্ঠ ভাবে
মিলিত হলে দুজনেই? ওর ছেলে ফ্ল্যাটে ছিল না?
না।ওর ছেলে তো আজ স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল।
জিজ্ঞেস করলাম কোন শ্রেণীতে পড়ে?
বলল সপ্তম শ্রেণীতে উঠেছে।
জানতে চাইলাম ওদের সাথে আলাপ হল কিভাবে।
পঞ্চম শ্রেণীতে আমাদের স্কুলে ভর্তি হয়।তখনই
অভিবাবক মিটিংয়ে আলাপ পরিচয় হয়।তখনই
বিজ্ঞান বিভাগটি পড়ানোর কথাবার্তা হয়।বলেছিলাম সপ্তম শ্রেণীর গোড়া থেকেই বাড়িতে
গিয়ে পড়াব।সপ্তম শ্রেনীর ক্লাস আরম্ভ হতেই ছেলেটি ফোন নম্বর চেয়ে বলে মা পড়ানোর ব্যাপারে কথা বলতে চায়।
বাঃ। ফোনে তোমাদের যোগাযোগ হল? তারপর
ঠিকানা নিয়ে তার বাড়ি চলে গেলে?
হ্যাঁ। পড়ানো আমার পেশা।বলতে পারো একরকম
নেশা।সেটা তো তুমি ভালোই জানো।
হ্যাঁ জানি না আবার।খুব জানি।তোমার মা ডেকে
ডেকে সারা হয়ে যেত,যে উঠে একবার জলখাবারটা খেয়ে যা,মানে ওই দুধমুড়ি।সেই
পড়ানো শেষ করেই তবে খেতে যেতে।
মনে থাকারই কথা তো।তোমাদের বাড়ির যে ঘরে
আমি ভাড়া থাকতাম ঠিক তার পাশের ঘরেই তুমি
ব্যাচ করে পড়াতে।কত সুন্দরী কিশোরীরা সেজেগুজে পড়তে আসত।
আর তুমি আমায় ডেকে বলতে দেখ বৌদি এদের
পোশাক। এরা আজকালকার আধুনিক মেয়ে। এইরকম বে আব্রু পোশাকে অর্ধেক শরীর দেখালে কোন পুরুষ নিজেকে ঠিক রাখতে পারে?
তখন তুমি ছিলে অবিবাহিত।
আমি লজ্জায় হেসে বলতাম খুব সাবধান।
আসক্ত হয়ে পড় না যেন আবার।নিজেকে সংযত
রেখো।
হ্যাঁ বৌদি আমি তো সংযতই ছিলাম তখন। কারো
প্রতি কখনো আসক্ত হই নি।
মা বাবার পছন্দের মেয়েকেই আমি বিয়ে করি।
সেও তো তোমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়া?
হ্যাঁ মা বাবা ভেবেছিল কোন অঘটন ঘটবে না।সেই
ভরসা করেই বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে। আমার দুর্ভাগ্য যে আমি বার বার পরিত্যক্ত।