ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আসে মানুষের মাঝে অভ্যেসের বদল —-
সব ঋতুকে মানিয়ে নিয়ে চলার ক্ষমতা রাখে মনুষ্য জাতি,
তাই তো ছয়টি ঋতু আমাদের মাঝে বিভিন্ন বৈচিত্র্যের সম্ভার নিয়ে হাজির হয় নানা রূপে নানান রসে আর নানান গন্ধে।
গ্রীষ্মের দাবদাহে পেরিয়ে যেমন বর্ষার ঘন মেঘ আর বৃষ্টি খরা প্লাবন এলাকায় দেয় তৃপ্তি —
তেমনি তুমিও ঠিক পেরেছ আমার যন্ত্রণা দূরীভূত করতে।
আবার দেখি শরৎ আকাশ কত কিছু বলছে —-
যেখানে মেঘ সেখানে বৃষ্টি,
আবার মাঝে মাঝে রোদের ঝলমল আনন্দ —–
কত রূপের ডালি নিয়ে প্রকৃতি জেগে উঠেছে,
তুমিও ঠিক তেমনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে জেগে ওঠো তোমার মিষ্টি কণ্ঠস্বরের প্রতিধ্বনি নিয়ে।
ঠিক কমল যেমন শরতের আগমনে আগমনীর ডাকে জেগে ওঠে,
আবার শিউলি সুবাস ছড়িয়ে দেয় প্রাঙ্গণে।
তুমিও তেমনি আমার চলার ছন্দে কমলের মতন শোভা নিয়ে জেগে উঠেছো,
আর শিউলির সুগন্ধের মতন মন প্রাণ সুগন্ধে ভরিয়ে দিয়েছো।
কি তৃপ্তি!
বিশ্বাস করো এর আগে আমি কখনও অনুভব করিনি —-
তেমনি হয়তো শরৎ বিদায় নিয়ে হেমন্তের নবান্নে কনক ধান্যে কৃষকের মন ভরে উঠবে,
আর আমি তখন জেগে উঠবো তোমার স্বর্ণসম হৃদয়ের অনুভূতিতে।
আর শীত ,সেটা নাইবা বললাম —-
কুয়াশা ঘেরা দিবারাত্রি শুধু হয়তো তোমার স্পষ্ট চেহারার ছবিখানি ভেসে উঠবে মনেপ্রাণে,
হয়তো সারারাত কাটিয়ে দেবো তোমার কথাগুলোর উপলব্ধি নিয়ে।