এখনো মাঠের সবটুকু—
গ্রাস করেনি ঐ রাক্ষুসে প্রাচীর
এখনো………….
প্রাচীরের ফাঁকা দিয়ে সবুজ ঘাস গুলো দেখা যায়,
এখনো প্রাচীরের আড়াল হতে ভেতরের ভেজা
ঘাসের ডগায় শিশিরের কণা ঝলমল করে।
এখনো প্রাচীরে মোড়া মাঠটা————
টাকার বস্তা দিয়ে মুড়ে ফেলা যায়নি
তবে চেষ্টা চলছে খুব জোর।
খুব তাড়াতাড়ি এই মাঠের সকল ইতিহাস পাল্টে যাবে
এই মাঠের ঘাসের জন্মদাতা—————
সেই মাটির স্তর পাথরে পরিণত হবে
এখানে আগামীতে আর কখনো সবুজ ঘাস দেখা যাবে না।
এখানে আগামীতে আর কখনো————-
ঘাসের মাথায় শিশিরের কণা করবে না খেলা
এখানে আর কোনদিন———–
ক্ষুধার্ত গরু-ছাগল ছুটে আসবে না খিদে পেলে।
অফুরন্ত অর্থভাণ্ডারের ঝলকানিতে এই মাঠের
সম্পূর্ণটাই এক রাজকীয় চাকচিক্যে মোড় নেবে
আগামীতে এই মাঠে গড়ে উঠবে—-
একাধিক যৌথ অট্টালিকা,
গড়ে উঠবে জনবহুল কত বিনোদন মহল
শুধু নেবে বিদায় প্রাণ প্রিয় অন্তরের স্পর্শ সকল।
কত কবির কবিতা লেখা হতো এই মাঠে বসে
কত গায়ক গানের ছন্দ খুঁজে পেতো এই মাঠে
কত সুরকার আকাশের সুর————
মাঠের মাটিতে বসে থাকা ঘাসের সাথে মেশাতেন;
কত বাউল তার মৃত একতারায়————–
আবার পুনর্জীবিত হয়ে উঠতেন এই মাঠের`পরে
সব ইতিহাস পাল্টে যাবে আজ,
কাল থেকে এই মাঠ; এই ভূমি হবে প্রাণহীন
হবে রূপান্তর জড়তায় ভরা উন্নত সমাজ।