মরমীয়া কুহুতানে পারিজাতের নির্যাসে
তোর হৎস্পন্দন আজো টের পাই প্রত্যয়ী বিশ্বাসে।
জীবনের পাতা জুড়ে দেওয়া নেওয়ার খতিয়ানে কত না কাটাকুটি,
কিছুতেই তো বুঝলি না , জানিস ,ভালোবাসার কোন মাপজোখ হয়না।
মনে পড়ে? উন্মুখ বসে থাকা প্রতীক্ষার কাল গুণে কুশিয়ারা নদীর তীরে?
তুই ওপারে এসে দাঁড়াতেই আমার হৃৎপিন্ডটা লাফিয়ে উঠতো ।
দুচোখে হাজার খুশির রোশনাই ঝিলমিল করতো।
নাহ্ তুই বা আমি মুখে কখনোই বলিনি, ভালোবাসার কথা।
তা, সব কথা কি মুখে বলতে হয়!
হৃদয় তো ঠিক জানে হৃদয়ের কথা ,তাইনা?
চোখের কাঁচে কি মনের ছবি ফুটে না?
এইযে ,তোর আমার এতো আবেগ ভরা আকুলতা,
দেখা হলেই কথা যেন ফুরোতেই চায় না,সেটা কি শুধুই নিছক সখ্যতা? ভালোবাসা নয়?
তোর এতো অভিমান কেন রে!
হ্যাঁ, তুই অনেক আবেগঘন মূহুর্তে তোর আদরের সোহাগী স্পর্শে আমাকে আলিঙ্গন করেছিলি ,
আমি চমকে বেতসলতার মতো শিউরে উঠে সরে গেছি ছিটকে।
তাই বলে ,একরাশ মেঘের স্তব্ধতায় মৌনতার আড়ালে,চোখের আড়ে চলে গেলি?
তারপর? তারপর থেকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো চোখে আশার দীপ জ্বেলে আমার অগস্ত্য প্রতীক্ষার কালবেলা।
আচ্ছা বোকা তো তুই! এক্কেবারে হাদারাম!
তুই কি বুঝতে পারিসনি আমার মনকথা!
এ্যাই,একটিবার আসবি?
আকণ্ঠ পিপাসা তোর ঠিক মিটিয়ে দেবো সপ্রেম চুম্বনের আশ্লেষে।
তুই যে আজো আছিস আমার হৃদমাঝারে।
আমার দেহমনের শিরায় শিরায়,তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে তোর ভালোবাসার উষ্ণতা নিয়ে।
সবটুকু অভিমানের মেঘ উড়িয়ে দিয়ে আসবি কি?
আমি নিবেদিত হবো আমার প্রাণভরা এক সমুদ্দুর ভালোবাসা নিয়ে।
আসবি তো?