পাঁচ মাত্রায় হেসে চলে গেল চাপা ফুল-রঙা সপ্তদশীটি
ট্রাম-ব্রেক কষা ধাতু-কর্কশ শব্দে বাজল কড়ি মধ্যম
সন্ধেবেলায় বাতাসে হঠাৎ এমনি এমনি শোনা যায় মৃদু
পূরবীর সুর
জানলার কাছে দাঁড়িয়ে আমি কি সত্যিই শুনি, অথবা কিছু না
মাঠের মধ্যে তালগাছগুলো নন্দলালের ছবির মতন
বৃষ্টি-বিকেলে তারা আর গাছ থাকে না, শুধুই ছবি হয়ে যায়…
কী লাভ এসব দেখে, বা সুরের সঙ্গে আমার শ্রবণ মিলিয়ে
জীবন যাপনে এসব তুচ্ছ, জীবন শুধুই বাস্তব, তার লকলকে শিখা
ছড়িয়ে রয়েছে লোভে হিংসায়, শিশু হত্যায়, সবুজ ধ্বংসে
সেখানে শ্রী নেই, ক্রন্দন ছাড়া কোনো সুর নেই, ক্রোধ-লোভ ছাড়া
কোনো রস নেই
ভাঙছে মাটির দেয়াল, খনির গর্ভে মিশেছে কত কঙ্কাল
রক্তপাতের এত ছলছুতো, মানুষ নামের প্রাণীরা এ গ্রহে
কেন জন্মাল
আকাশে লক্ষ গ্রহ তারকায় আর কেউ আছে, কেউ কি দেখছে?
সুজলা, সুফলা এই পৃথিবীতে মানুষ মেতেছে কাল-সংহার
দারুণ খেলায়…
গালে হাত দিয়ে এই সব ভাবি, তবু কেন শুনি অন্তরীক্ষে
বাজায় না কেউ, তবু বেজে যায়, বাঁশির শব্দে জয়জয়ন্তী!