আমি এক জ্বলন্ত বিবেক,জ্বলছি চিতার আগুনে,
দাউ দাউ করে পুড়ে চলেছি নিরন্তর দুর্নিবার,
ঈর্ষা আর লোভের আগুনে গড়া আমার শরীর
শব্দেরা সেখানে থাকে নিঃস্ব-নিশ্চুপ।
জ্বলছে আগুন নির্বাক মনের বদ্ধ ঘরে,
রাক্ষুসে দাপটে অগ্নিশিখায় ত্রস্ত বিধ্বস্ত মান সম্মান চিতার পোড়া কাঠ হয়ে রয়ে যায়,
গড়ে ওঠে প্রতিবাদ প্রতিরোধের পাহাড়,
বিবেকের উদ্ধত তর্জনী মনুষ্যত্বের জাদুঘরে বন্দি থেকে যায়।
বিষাক্ত রোষানলে জর্জরিত আমার শরীর,
আমি আগ্নেয়গিরির প্রজ্বলিত লেলিহান শিখা
অসংখ্য লাভাস্রোত নিরন্তর বয়ে চলেছে আমার অন্তরের অন্তঃস্থলে।
সৃষ্টির বিরাণভূমিতে আমি ধ্বংসের নেশায় হই মত্ত,
নিমেষেই সবকিছু পুড়িয়ে করি ছাই,
আমি সমাজ বিধ্বংসী কালাগ্নি,
পাষাণের দৃঢ়তায় আমি মহাশ্মশান,
দুর্বিনীত ঘৃণা আর ক্রোধের হিংস্র আঁচড়ে ললাট সূর্যকে করি ক্ষতবিক্ষত।
প্রচন্ড প্রতিশোধের আগুনে ভস্মীভূত করি সকল রক্তের ঋণ,
হাজার ব্যথার চুল্লি সাজিয়ে মৃত্যুর সাথে মিতালী পাতাই,
কখনও উন্মত্ত উল্লাসের নেপথ্যে আমি জ্বালাই মানুষের দম্ভ, জ্বালাই পাশবিক লোভ,
দুর্দমনীয় দুঃসাহসী নৃশংসতায় আমি অট্টহাস্যে ফেটে পড়ি।
বর্বরোচিত দানবীয়তার’ বীভৎসতাকে তুচ্ছ করে
আমি গড়ে তুলি স্বপ্নের শ্মশানভূমি,
সকল আদর্শের চিতাভস্ব গায়ে মেখে আমি মৃত্যুকে করি আহ্বান।