জল যেখানে জীবন নামে, আদ্যোপান্ত রয়
সেই গ্রহটা এই পৃথিবী, বাসযোগ্য হয় !
কলস কাঁখে চলত সুখে,গ্রাম্য কোনো মেয়ে
জল আনতে মাটির পথে, মিষ্টি গান গেয়ে ।
সুখের দিন অস্তগত, এখন কালো ছায়া
পানীয় জল মুখ লুকিয়ে, মায়াবিনী কায়া !
স্বার্থপর মনুষ্যজাত, চতুর বুদ্ধিমান
অকাতরে নষ্ট করে, প্রকৃতি মায়ের দান ।
বর্ষাকালেও হয় না বৃষ্টি,শূন্য চাষবাস
আশা নিয়ে সকল মানুষ,হচ্ছে যে হতাশ ।
জলের অভাবে ফসলও,উৎকর্ষহীন
উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে, সকল লোকের দীন !
ইচ্ছাকৃত অপচয়েই, জলের ভান্ড শেষ
বুঝলি না রে ভাগ্যে তোদের, দুর্গতি অশেষ !
দিনে দিনে আকুল হিয়ায়, ঝংকৃত উল্লোল
দিকে দিকে নরনারীর,অতি সচেতন বোল ।
নিদর্শনের দৃষ্টান্তে, কেবলই দীর্ঘশ্বাস
জল যেখানে অমূল্য ধন, বাঁচার আশ্বাস !
দিন যত যায় দুষ্প্রাপ্য,সলিলের আহ্বান
এ যেন কোলাহলময়,মৃত্যু মিছিল গান !
অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে দিনে, এক গ্লাস জল
শিশু যখন বৃদ্ধিহীন,ভয়াবহ ফলাফল !
তবু তখনো সাগর জলে, রবে ঊর্মিমালা
খরা অথবা বন্যাই হবে,ভবিষ্যতের জ্বালা !
সচকিত হয়ে হাতে হাত, রাখো বিশ্ববাসী
“জল ধরো জল ভরো” সংরক্ষণের প্রয়াসী ।
দুর্নিবার বৃক্ষরোপণে, ছায়াশীতল ঘ্রাণ
আমন্ত্রণে কাঙ্ক্ষিত বারি, খুশি সকল প্রাণ ।
আপন ভেবে ভবিষ্যতে আগলে রেখো তাকে
জল বাঁচিয়ে প্রসবিনী করো প্রকৃতি মাকে ।