না, এমন নয়, পথ হাঁটি
এঁকেবেঁকে বঙ্কিম পথ বেয়ে।
আর নয়, যাব না যাব না
সরীসৃপের মতন শিরদাঁড়া পুড়িয়ে,
অথচ ভেঙে গেল কখন অজান্তে
ঠুনকো কাঁচের চুড়ি,
একটা একটা করে জোড়া লাগাই
রাস্তা সারাই
শক্তপোক্ত হলাম ইত্যবসরে।
এভাবে নাচার, এভাবে অভাবনীয় গোলকে
বাঁচা নয়, বাঁচা নয় ভেবে ভেবে
আদ্যিকাল ইদারার পাশে থাকি বসে,
অদ্ভূত ভালো, ভালোবাসার সুঠাম স্বপ্নে
শুয়ে শুয়ে
যাব না, যাব না, যাব না আর নয়
আঁকাবাঁকা পথের সীমানা মাড়িয়ে।
নাহ্, নির্ভেজাল ভেজালে নিংড়ে নিয়েছি
যাবতীয় অনুরাগ, যাবতীয় আবেগ,
শপথের বেড়া নরম মাটিতে
পায় না খুঁজে কাম্য শেকড়,
একে তাকে ডেকে ডেকে
জনশোক অনুশোচনা ভালবাসি,
জন্মরহস্য তবুও খোলে না ঘোমটা,
বিষ্ময়ে আছি চেয়ে –
হাঁটি হাঁটি, হাঁটতে হাঁটতে হাঁটতে যাই চলে
বাঁকাচোরা পথের আঁচল বেয়ে।