জঙ্গলমহলের অচেনা লোক দেবী মা ভুঁই ধরণী
রগড়ার ভুই ধরণী থান জঙ্গলমহলের এক পরিচিত জায়গা।তেঁতুল সাবড়ার ছায়ায় হাতি ঘোড়ার ছলন স্তুপ এর মাঝে অবস্থান করছেন আদিম লোক দেবী মা ভূঁই ধরণী!অক্ষদিত শিলাখণ্ডে দেবী রূপে পূজিতা।বর্তমানে মূর্তি তৈরি করেও পূজা হয়।!মনত পুজোতে ও সকলে মূর্তি দেয়! মানতের মূর্তিতে সারা আটন ভর্তি।এই ভাবেই সারাআটন ভর্তি মূর্তি খুব কম লোক দেব দেবীর আরাধনা স্থলীতে দেখা যায়!
অব্রাহ্মণ দেহুরীর মন্ত্রহীন ভক্তি কুসুমের অঞ্জলিতেই মায়ের অর্চনা।আশেপাশের অঞ্চলের সবাই মাকে ভীষণ মানে!তাদের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা সবের সাথে মা সম্পৃক্ত হয়ে আছেন।নিত্য পূজা হয়!শনি মঙ্গলবারে পুজো হয়বিশেষ পূজা!বাৎসরিক পূজো মেলা হয় মকর সংক্রান্তির সময়।অ ব্রাহ্মণ দেহুরি মাকে অর্চনা করেন লৌকিক রীতিতে।বলি প্রথা প্রচলিত।লোকশ্রুতিতে জানলাম যে মা গাছতলার আটনে বিরাজ করেন কোন আচ্ছাদনের নিচে নয়!মায়ের আটনের বিরাট তেঁতুল গাছটি ছায়ায় কোন সুদুর অতীত থেকে অবস্থান করছেন মা ভুঁই ধরণী।স্থানীয় মানুষজনের দৈনন্দিনতার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে গেছেন সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই!পহেলা বৈশাখের শুভ মুহূর্তে লোকজনের ঢল নেমেছে মায়ের আটনে।মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বছর শুরু করতে চায় সকলে!তেমনই বাড়িতে কোন শুভ অনুষ্ঠান হলে মায়ের স্থানে পূজো দেয় এখানকার স্থানীয়রা!মায়ের অনুমতি নিয়েই শুভকাজ আরম্ভ করে!এই একবিংশের অবিশ্বাসী সময়েও মায়ের প্রতি মানুষের অগাধ ভক্তি ও বিশ্বাসের টানে মায়ের আটনে সে জমা হয় ভক্তবৃন্দ।
মানত করার জন্য ছলন বাধা হয় আর মানস রক্ষা হলে হাতি ঘোড়ার ছলন উৎসর্গ করে পুজো দেওয়া হয়। আটনের বৃক্ষ বেষ্টনীতে ছলন স্তূপে চাঁদ মালা সিঁদুরের মাঝে আলো ছায়ার আলপনা আঁকে প্রকৃতি। তেঁতুলের চিরল চিরল পাতায় কাঁপন লাগে বাউল বাতাসের।মানসিকের ঢিল ছোট ছোট ছলন বাধা আছে গাছের ডালে!তারাও যেন একত্রিতভাবে মায়ের কাছে তাদের আন্তরিক কামনা জানাচ্ছে।
!হরিয়াল ঘুঘুর একটানা ডাকে নেশা ধরে যায়।এভাবেই প্রকৃতি মাকে অর্চনা করে তার আপন মনে!
তথ্যসূত্র,,,লোকডাষ
ক্ষেত্রসমীক্ষা
বিশেষ তথ্য ঋণ ও চিত্র শ্রী বিশ্বজিৎ পাল