শাবাস জনাব, আপনার ধৈর্যের মুখে
ফুল চন্দর পড়ুক। সেই কবে থেকে আপনি
আমার পেছনে পেছনে ঘুরছেন।
আমি বাড়ি থেকে না বাড়ালেই
আপনি আমার সঙ্গে জুড়ে যান। সবসময় যে স্পষ্ট
আপনাকে দেখতে পাই, তা নয়।
তবে বুঝতে কষ্ট হয় না,
কেউ একজন আছে আমার পিঠের খুব কাছে,
কখনো কখনো তার নিঃশ্বাস এসে লাগে
আমার ঘাড়ে। ঘুরে দাঁড়ালেই দেখতে পাব তাকে।
আমি ডান দিকে ঘুরলে আপনিও ঘুরে দাঁড়ান ডানে,
যখন আমি বাঁ দিকে এগিয়ে যাই
হনহনিয়ে, তখন আপনিও
চমৎকার কায়দার চলতে শুরু করেন বাঁয়ে।
আর এই তো সেদিন
রৌদ্রের ঝালরময় আরমেনিয়ান গির্জের কাছে আপনি প্রায়
ধরা পড়ে গেলেন আমার চোখে।
আর সেই মুহূর্তে চেহারায় এমন ভঙ্গি ফুটিয়ে
তুললেন, মনে হলো, আপনি আমাকে
এই প্রথমবারের মতো দেখলেন। কী জানেন,
এরকম মুখভঙ্গি শুধু পাকা অভিনেতাই আয়ত্ত করতে পারে।
দেখুন, কখনো কখনো ইচ্ছে
আপনাকে সাফ বলে দিই, ‘আপনার নষ্ট করার মতো
প্রচুর সময় যদি থাকে,
তাহলে যত ইচ্ছে আমাকে ছায়ার মতো অনুসরণ করুন
আমি বারণ করব না। ভিড় ঠেলে ঘেমো মানুষের
গন্ধ শুঁকে শুঁকে সকাল-সন্ধ্যা
কিংবা মধ্যরাত অব্দি আমার আশেপাশে
মনের সাধ মিটিয়ে
ঘোরাফেরা করুন, আমার একরত্তি আপত্তি নেই।
এই যে আপনি শিকারি কুকুরের ধরনে
আমার চলার পথ শুঁকে বেড়াচ্ছেন অষ্টপ্রহর,
কী এর উদ্দেশ্য
আমার একেবারে অজানা নয়। বিশ্বাস করুন,
আপনি আমার কাছে যা পেতে চান,
যা আমার কাছে আছে বলে আপনি এবং আপনার
প্রভুরা কল্পনা করেন-
আপনাদের কল্পনাশক্তি কবিদেরও হার মানায়-
সেসব কিছুই পাবেন না।
বরং আমার মুখোমুখি হলে
আপনাকে আমি চটজলদি একমুঠো বেলফুল,
কতিপয় রঙিন বেলুন,
কিংবা টাকার মতো চকচকে কিছু নক্ষত্র দিতে পারি।