যখনই আসে তোমার জন্মদিনের ভোর,
তখনই কবি আমার কলম করে আবিষ্কার-
তোমার জীবনের পরতে পরতে-জ্ঞানের ভান্ডার;
কখন কি জানি চেতনায় মিশে একাকার!
তুমি কবি, সত্যদ্রষ্টা তাই কীর্তিতে মহামানবিক,
আগামীর জন্য দেখিয়ে গেছো দিশা সঠিক,
মাঝেসাঝে নিন্দায় ভাসিয়েছে তোমায় সমসাময়িক;
তবু সাধনার নিরিখে বুঝেছি তুমি সার্থক প্রেমিক।
তোমার প্রেমে আশ্লিষ্ট আজ বাঙালির ভাব থেকে ভাবনা,
উদ্বোধনের ক্ষণে বা
আনন্দেতে-কখনোই খুঁজতে হয়না,
তেমনই দুঃখরাতেও তোমার সঙ্গীতই ছড়ায় জ্যোৎস্না;
শতাধিক বর্ষ পরেও কবি কাল তোমাকে ভুলতে দাও না।
প্রতিবাদে প্রতিরোধে আজও কণ্ঠে তোমার সৃষ্টি ঝরে,
উপনিষদের কাঠিন্য তুমিই ব্যক্ত করেছো সরল ক’রে,
ঋতুবৈচিত্র্যে বঙ্গ আবহেতে কতো যে রূপ ধরে!
তোমার কাব্য গীতিতে সেই সব সাজিয়ে গেছো থরে থরে।
সমস্ত শিশুমনের গহীনের নানা রঙবেরঙের সাধ-
বোধহয় ডুবুরি হয়ে এনেছো তুলে স্বপ্নিল সব সংবাদ,
প্রকৃতি ও সমাজের বুকে অহরহ প্রোথিত ক্ষমতার আবাদ-
নিপুণ লেখনীতে সন্ত্রস্ত করে মিটিয়েছো সব বিবাদ।
নব্য কবিদের নতুন সৃষ্টিরা ঘোরে নানা আঙ্গিকে,
এড়াতে পারেনি তারাও তোমার ভাবনাপ্রসূত সৃষ্টিকে,
জন্মদিনে আঁকড়ে আছি আজও তোমার রচিত পথকে;
হারাবে না রবিঠাকুর কোনোদিন বিস্মৃতির আলোকে।।