আমার এক শৌখিন মামার আতরের ব্যবসা ছিল
সুগন্ধি আতর বিলোত তাই ‘গন্ধ মামা ‘ হয়ে যায় ।
মাঝে মাঝে নিরুদ্দেশে চলে যেতেন দেশ বিদেশ
কোথায় কেউ জানত না, আবার বছর পর ফিরে আসতেন।
একবার গেলেন বানিজ্যে , চাঁদ সদাগরের সপ্ত ডিঙার
প্রতীক্ষায় সময় পেরিয়ে যায়, এখনো ফেরেনি।
আজো আকাশে চাঁদ ওঠে, মেঘপুঞ্জের অনেক উপরে চাঁদ
অবাক জোছনা মেঘের ফাঁক দিয়ে খোঁজে
শীর্ণ হাত থেকে খ’সে যাওয়া দুর্লভ গোলাপের শিশি ,
জুঁই ফুলের সুগন্ধি আতর ঘষে দেওয়া আমার
শার্টের ডগ কলার বহুদিন লুকিয়ে রেখেছি ,
শৌখিন মামার সুন্দর পকেটঘড়ি, আইভরির কলমদানি
হরিণের চামড়ার চশমার খাপ, স্ফটিকের ফুলদানি,
কষ্টি পাথরের পেপার ওয়েট, মৃগনাভি রাখার
চন্দন কাঠের বাক্স, রূপোর তৈরি জর্দার কৌটো,
আর সুগন্ধি চুরুটের মুখ কাটা চাকুটা, যা আমার অহংকার
বহুকাল আগেই হারিয়ে গেছে ; হারিয়ে গেছে সেই প্রতীক্ষা
প্রতিদিন তুমি ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ
সারা জীবনের সঞ্চিত গন্ধরস আজ বাতাসে মিশে
শুধু খোঁজে গোলাপ , চামেলি , জুঁই , হাসনুহানার আকাশ।