কবিতার প্রাণ খুঁজতে খুঁজতে এখন আমি লাশঘরে!
প্রতিমুহূর্তে খুঁজে বেড়াই নিষ্প্রাণ দেহ
এক নিমেষের জন্যও চোখ বুজতে ভয় পাই আমি!
এই বুঝি তুষের আগুনে পুড়ে গেল আরও একটা লাশ!
এমন দেখলেই আমি চকিতে ছুটে যাই।
হ্যাচকা টানে ভরে ফেলি সেটা লাশকাটা ঘরে।
তারপর শবব্যবচ্ছেদ করে বের করি মূকনীল যন্ত্রণাদের।
শব্দের আল্পনা আর ছন্দের মালা দিয়ে সাজিয়ে ফেলি তাদের।
ধরে রাখি একের পর এক কবিতার খাতায়।
অমানিশার রাতে
জোনাকির মত জ্বলে আর নেভে পৈশাচিক যন্ত্রণাগুলো।
আমি বাৎসল্য স্নেহে কেবলই চেয়ে দেখি তাদের!
তখন তারাদের সৌন্দর্যও ফিকে হয়ে যায় আমার আঁধার আকাশে!
কি ভয়াবহ ভালোলাগা গ্রাস করে আমাকে!
ভুলে যাই অন্তঃসারশূন্য বাসর ভালোবাসা -সম্বলহীন দেবদারু মোহ!