মাথা উঁচুতে রাখতে হয় ঝড়ে, জলে
কুয়াশায়,
দসদিকের কবন্ধ আঁধারে। কানে আসে
ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীদের হল্লা ; তিন ভূবন
মাছের বাজার, নাকি মানুষের মাংস নিয়ে
চলে কাড়াকাড়ি! রাস্তায় রক্তের নদী
পার হয় জল্লাদেরা। কবিরা কবিতা লেখে
শীতের কাঁথায় মুড়ি দিয়ে
আপাদমস্তক ; নেতারা বক্তৃতা দেয়, ধূমাবতী জন্মভূমি
সর্বাঙ্গে ক্ষুধার অগ্নি দাউ দাউ
ঝাঁপ দেয়—কোথায়—কে জানে ?
এ দিনে মানুষ নাম
মনে হয় অশ্লীল তামাশা! আমাদের সন্তানেরা আমাদের চোখের সামনে
রক্ত মাংস কর্দম, অথবা আততায়ী—কাপুরুষ! আমরা গলিত নখদন্ত সিংহ
নিরাপদ, সার্কাসের খাঁচায়, ঘোলাটে চোখের মণি—
. বিস্ফারিত—ক্রমে অন্ধকার হ’য়ে আসে—
তবু মাথা উঁচু রাখতে হয় নরকেও। আমাদের চোখের আড়ালে
ক্রমাগত রক্তক্ষরণের
পিচ্ছিল নৈপথ্যে আজও রয়েছে মানুষ—একা—নরক দর্শন করে,
. তবু অন্ধ নয়, খোঁড়া নয় ;
রক্ত মাংস কর্দমের পাহাড় ডিঙিয়ে, নদী সাঁতরিয়ে
নরক উত্তীর্ণ হ’তে ক্লান্তিহীন যাত্রা তার ;
মাথা উঁচু রাখাই নিয়ম।