ঈশ্বর কোথায় থাকেন?
মন্দিরেও না, মসজিদেও না, গির্জায়ও না, মঠেও না। তবে থাকেন কোথায়?
আকাশে?
মহাশূন্যে?
জলে?
পাতালে?
মাটিতে?
স্বর্গে?
নরকে?
না। এসবের কোথাও না।
তবু তিনি আছেন।
তিনি না থাকলে কি সূর্য ওঠে?
পাহাড় থেকে ঝরনা ঝরে?
মেঘ থেকে বৃষ্টি পড়ে?
ঝড় তুফানে সবকিছু তছনছ হয়ে যায়?
তবে তিনি কোথায় থাকেন?
তিনি থাকেন প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে, প্রতিটি জড়বস্তুর মধ্যে।
একটা পিপিলিকা থেকে শুরু করে মানুষ অব্দি প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে তিনি আছেন, এমনকি গাছের মধ্যেও।
এই পাহাড়-পর্বত-মরুভূমি-নদী-সমুদ্র সব কিছুর মধ্যেই তিনি আছেন।
তবু তাঁকে দেখা যায় না কেন?
তাঁর উপস্থিতি টের পাওয়া যায় না কেন?
যেদিন নিজেকে উপলব্ধি করা যাবে
সেদিন তাঁরও দেখা মিলবে।
যেদিন নিজের ‘আত্মা’কে জানা যাবে, তার স্বরূপ বোঝা যাবে
সেদিন ঈশ্বরকেও পাওয়া যাবে।
মানুষ বাদ দিয়ে আর যা কিছু রয়েছে তাদের মধ্যেও কি আত্মা রয়েছে?
জড়বস্তুর মধ্যে রয়েছে?
গাছের মধ্যে রয়েছে?
হ্যাঁ, অবশ্যই।
বলা যায় “আত্মাই হলো ঈশ্বর”।
আত্মার কোনো বিনাশ হয় না, তাই তো ঈশ্বরও অবিনশ্বর।
আত্মা শুধু রূপ বদল করে।
তাই যেদিন নিজের ‘আত্মদর্শন’ হবে
সেদিন তাঁকেও দেখা যাবে।
জড়বস্তু, গাছ তারা কীভাবে উপলব্ধি করে আত্মাকে? আদৌ করতে পারে?
তাদের উপলব্ধি করার প্রক্রিয়া মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়,
করতে পারে কি না পারে তা বলাও সম্ভব নয়,
কারণ মানুষ তাদের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না।
ঈশ্বর এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা।
তিনি সবকিছুর মধ্যেই আছেন।
শুধু তাঁকে বুঝে নিতে হয়, খুঁজে নিতে হয়, চিনে নিতে হয়।