হৃদয়েতে সৌম্যদর্শন আলখাল্লা বেশ
দীপ্ত ভাস্বর রবীন্দ্রনাথ, লেখায় তার রেশ।
জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি পঁচিশে বৈশাখ
সারদা মার কোলটি জুড়ে ক্রন্দেনের ডাক।
মঙ্গল শাঁখ ধ্বনিত হলো দিক্ বিদিকে
জন্ম তোমার শুভক্ষণে, শঙ্খ বাজে চতুর্দিকে।
সহজপাঠে তোমায় চেনা ছন্দে সুরে
চিত্রকলায় মুগ্ধ সবে বই এর পাতা ঘুরে।
দুঃখ কষ্টে আনন্দ প্রীতে বাজে তোমার গান
নোবেল জয়ে খ্যাতি বিপুল পেলে বিশ্বে মান।
গীতাঞ্জলি ইংলিশ অনুবাদ এনে দিল সম্মান
নাটক গল্প উপন্যাস কাব্যে স্বকীয়তায় প্রমাণ।
জন্মদিন টি করে পালন প্রতি ঘরে ঘরে
ফুলের মালা ধূপ চন্দনে আঁকে ছবি পরে।
গানের ডালি সাজিয়ে নেয়, তোমায় স্মরে
কবিতা পাঠে মুখর আকাশ তোমায় বরে।
শয়নে স্বপনে চিন্তনে মননে আছে তোমার ছবি
প্রেমের জোয়ারে ভাসালো দোঁহারে, হে রবি!
রাখি বন্ধনে বাঁধলে প্রীতে একতার মাঝে
শান্তি বাণী উৎসরিল সকাল থেকে সাঁঝে।
নাইট উপাধি ত্যাগ দিলে তুমি কবি আগে
অবাধ হত্যাকান্ড পাঞ্জাবের প্রতিবাদে সর্বাগ্রে।
চির উজ্জ্বল চির ভাস্বর একটি নাম শুধু
হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি আহা মধু মধু।