জানিনা আর কে কি নামে ডাকে, তবে রাঢ় বঙ্গে
এ শব্দই পরিচিত। প্রাচ্য দেশের পদ্ধতি এটাই। প্রমাণ হিসাবে চীন, জাপান, আরব,ইরান যেকোন
নাম করা যেতে পারে, তবে দক্ষিণ ভারতে এখনও
বেশ জনপ্রিয় বলেই মনে হয়।
কিন্তু তার ই বা কতদিন! ছোট বেলায় পুরোনো বাড়িতে এভাবে যেমন খেয়েছি, তেমন স্কুলের সরস্বতী পুজো থেকে
শুরু করে বেড়াতে গিয়ে দেরাদুনের ধর্মশালা পর্যন্ত
একই প্রচলন ছিল। তবে চেয়ার টেবিল বৃদ্ধগণ বা
শরীরের জন্য ফলদায়ক হতেই পারে। তাছাড়া এ
গতিময়তায় সুবিধা জনকও বটে। তবে ছোট বেলায় স্কুলে যাওয়ার আগে তাড়াতাড়ি আসনটা
পেতে নেওয়া, উপনয়নের পর মেঝেতে গ্লাস ঠুকে
ভাত চাওয়া (কথা বলতে নেই বলে) বা ছুটির দিনে
সবায়ের গল্প শুনতে শুনতে বা বলতে বলতে খাওয়া আমাদের স্মৃতি।
যদিও আশ্রম বা পুজো বাড়িতে এখনও এর স্বাদ পাওয়া যায়।
কিন্তু অন্যত্র নয়। এতে ঘরোয়া বা নিজের মতো অনুভব
টা একটু যেন বেশি হয়। তাই মনের দিক দিয়ে এ
পদ্ধতি আমার কাছে এগিয়ে। কারণ বাড়িতে কালীপুজোর পরের পরের দিন সকালে সকল হিন্দু
তথা অন্য মতাবলম্বী দেরও একবার এভাবে বসতে ইচ্ছে করে।
যতই হোক, ভাইফোঁটার মিষ্টির মানসিক চাহিদাটা অস্বীকার করা যায় না।