ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ঈশ্বরের চোখে জল।
ইন্দ্রসভায় উর্বশী,সুন্দরীরা নাচেনা এখন বেহাত,
নিষ্পত্র গাছেরা ফুঁসছে,পিঠেতে বারুদের বোঝা।
চতুর্দিকে প্রতিবাদে ভাঙছে ,পৃথিবীটা বেহাল,
মিথ্যাস্তুতির পরিকল্পনা বানচাল,ক্লান্তিতে হাঁসফাঁস।
গালভরা ভাষণ ,মিথ্যা অভিবাসন, দুঃস্বপ্নের ত্রাস।
লজ্জাবরণ বাঁধা পড়ে – বিবেক বন্ধকীর নব কারখানায়,
উপোষী নারীর দেহ ঢাকে উপঢৌকনের জাদু মুদ্রায়,
উপচে ওঠে উপাচারে নিরক্ত রক্তাক্ত যৌনাচার।
দাঁতে – দাঁত ঘষে ,হাড়ে হাড়ে খায় ঠোক্কর।
মন্দির,মসজিদে অবাক জলপান, রেকাবিতে ভরা স্বার্থ।
ষাটটা বছরের বৃথা স্বপ্ন হতবাক ,হতাশা আর ক্লান্তিতে ,
ফাঁদে পড়ে ছটফট করে আমার বগা,ঈশ্বর।
বিদ্বেষের বিষ আতংক ছড়ায় শিসে,
সংক্রমন ছড়িয়েছে সকল মনের আকাশে ।
মানুষ দেখি আজ অপাংতেও , মূল্যহীন,
বড় দুশ্চিন্তায় আছে আমার ঈশ্বর – উপাসকের আদর্শে।