২২ শে মে,১৭৭২, হুগলী জেলার রাধানগর গ্রামে, জন্মেছিলেন রামমোহন রায়
“আধুনিক ভারতের জনক” নামে যাকে চেনা যায়।
নবযুগের প্রবর্তক, কর্মকুশলতায় মহামানব যিনি,
মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবরের কাছে
“রাজা” উপাধি পেলেন তিনি।
ছিল ভয়ংকর সতীদাহ প্রথা,
বলি কত শত শত নারী
কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রমাণ করলেন,
চাইলে সব করতে পারি।
বন্ধ করলেন সতীদাহ,উইলিয়াম বেন্টিংক দিলেন সাথ
সতীরা পেল নবজীবন, কাটলো কালো রাত।
রাজা,প্রতিভা তোমার অসামান্য,শিখেছিলে নানা ভাষা
সমাজ সংস্কারক তুমি, ফাদার অফ ইন্ডিয়ান রেনেসাঁ।
গদ্য সাহিত্যের জনক তুমি, চেয়েছো বিশ্বমানবতা
পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থনে বলেছো,অমূল্য সব কথা !
আত্মীয় সভা,ব্রাহ্মসভা গড়েছিলে একে একে
পরমজ্ঞানী পুরুষসিংহ,পুজেছিলে দেশমাকে।
উপনিষদের বঙ্গানুবাদ, তিরিশটি গ্রন্থ রচনা
সংবাদপত্র প্রকাশে আলোকিত তব মহিমা।
কৃষককূলের দুরবস্থায় ব্যথিত ছিলে তুমি
নবজাগরণের পথিকৃৎ তোমার চরম চুমি।
প্রদীপ্ত তুমি, জয়টিকা তব, ললাটে বিরাজে রাজা
তোমার সুবাসে আলোমানব,উড়ছে জয়ধ্বজা ।