আজকের দুর্গারা
পঞ্চমীর দুপুরে স্কুলের থেকে একসাথে একঝাঁক শিক্ষিকা পুজোর ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়ে। মেয়েদের স্বাধীনচেতা স্বাবলম্বী গড়ে তুলতে অবিরাম প্রচেষ্টায় প্রত্যেকে নিয়োজিত। সিনিয়র জুনিয়র এর মধ্যে মতবিরোধের টুকরো ঘটনা ঘটে মাঝে মধ্যেই। পোশাকের স্বাধীনতায় একসময় মতবিরোধের মাত্রা যখন তুঙ্গে তখন নীতি দি জুনিয়রদের পক্ষের মুখ্য বক্তব্য রাখেন এবং স্কুলে তা গ্রহণ যোগ্যতা পায়। কিন্তু মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়।তবে একথা সত্য প্রতিটি শিক্ষিকার মতাদর্শ ছাত্রীরা মানুষ হোক, মানবিকতা হোক প্রতিষ্ঠিত।
একসাথে আজকের দুর্গারা দেবী দুর্গার দর্শন করে মনে প্রানে উৎফুল্ল, একতাই শক্তি প্রকৃত মর্মে হয় প্রতিষ্ঠিত।
রোদের মধ্যে পা মেলায় মন্ডপে মন্ডপে । সময় এগিয়ে চলে, নীতি দি আজ একসাথে এসেছেন, সকালে বাড়িতে বেশ কিছু কাজ তাড়াহুড়ো করে সেরে খাওয়া হয় নি, লজ্জায় অন্যদের সেকথা বলেন নি।মন্ডপে সীমার সাথে হাসিমুখে সেল্ফি নিয়েছেন। রাস্তা পেরোনোর সময় একটু অস্বস্তি হওয়ায় সীমার হাত চেপে ধরলেন। সীমা তখন ও বুঝতে পারে নি,পরের মুহূর্তে কি ঘটতে চলেছে! দীয়া দির সাথে হাঁটতে হাঁটতেই হঠাৎ নীতা দির মাথা ঘুরে ব্ল্যাক আউট! সবাই মিলে ধরে নেয় নীতা দিকে।ঠান্ডা জলের ছিটা মুখে দেয়, দুজন ors জোগাড় করে জোর করে মুখে পুরে দেয়, আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়।
সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ বলে যাদের অনেক সময়ই অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়,সেই মানুষগুলো এগিয়ে আসে, পা হাত ঘষে গরম করে, একসাথে ধরে ওষুধের দোকানে নিয়ে বাসায়। আশেপাশে কোনো ডাক্তার ছিল না, সবার শুশ্রূষায় নীতা দি একটু সুস্থ হয়ে উঠলে,দীয়া দি ও কিছুজন বাড়িতে পৌঁছে দিতে যায়। সন্মিলিত প্রচেষ্টায় জয়ী হয় মানবতা, জয়ী হয় শুভশক্তি,জয়ী হয় আজকের দুর্গারা।