পালকির দরজা খোলা। মঠের আচার্য মারা গেছে।
রোদ উঠে আসে সিঁড়ি থেকে বিছানায়, কদমের
নীচে তার সাইকেল, ওষুধের বাক্স, পায়জামা
চুরি করে চেরির বাগান দিয়ে চলে যায় চোর।
এ ডোবার জলে যতটুকু দেখা যায়, তাই লাভ
বলে শ্যাওলা সরিয়ে মেঘ না ঈগল বিশ্বলোক
কী দেখবে? ভেবেছ কখনও? বকুলডালের
পাশে আরও একটি যুদ্ধের মহড়া চলছে।
নির্জন মালঞ্চে তবু ফুল তুলছিলেন সুপ্রভা
দুশো একরের লনে যদি কোনও গন্ধবণিকের
ছায়া পড়ে, মাড়িয়ো না ঘাস, অল্প কাপড় তুলেই
বাকি পথ দ্রুত হেঁটে মঠের উঠোনে এসে দেখো:
সূর্যাস্ত নামছে। বেনেপাড়া থেকে এল আরও অর্ঘ
ভিক্ষে করে আনা চাল, কাঁসার রেকাবে মৃদু রোদ
রোমহর্ষ করে তোলে জামবাটি, মধু ও গোচোনা
কী ভাবছ? সিঁড়ি দিয়ে আমি এই প্রথম উঠছি?
অশোকবনের পথে পালকি থেমেছে। পাল্লা নেই
ভেতরের দিকে যত যাই, তত চেরির বাগান
দেখি আচার্যর পায়জামা ওড়ে, আর কলাবন
থেকে বাগদিদের ইট এসে পড়ে, পালাও পালাও!