জন্মেছিল এক বটগাছ কলকাতা শহরে
শেকড় চাড়িয়েছিল ভূমির গভীর অন্তরে
নেমেছিল স্ত্রী লিঙ্গ ধারী বটঝুড়ি তিন
আসেনি কেবল সুঠাম বংশপ্রদীপ সেদিন।
স্নিগ্ধ ঘনছায়া প্রভাব ফেলেছিল সুদূরে দিকভ্রান্ত যুবকেরা ছিল স্বমহিমায় নগরে।
মননে ভরেছিল তাদের সুগন্ধি আগরবাতি
জীবনে এসেছিল তাইতো উজ্জ্বল প্রভাতী।
অকস্মাৎ দিকভ্রান্ত যুবকেরা বিধ্বংসী ঝড় তুলে
আঘাত হেনেছিল মায়াবী বটের রুক্ষ মূলে।
পরগাছা আগাছারা মনভরে হেসেছিল খুশিতে
দুলেদুলে।
সময় সেদিন দিয়েছিল বন্ধ চোখ খুলে।
পরিজন কেউ আসেনি তার পাশে
অনুশোচনায় বিমর্ষ ভাগ্যের পরিহাসে।
পরিস্থিতির বশে সে এল আত্মজার বাগানে
ভাঙা হৃদয় আকাশ আশায় ফেরে স্বসম্মানে।
রাত কাটে ভোর হয় দাঁড়িয়ে আশির সীমানায়
পঙ্গু দেহ ক্ষয়ে সহে বৃক্কজনিত রোগ অক্ষমতায়।
সিঁড়ি বেয়ে এসেছে নেমে প্রতিক্ষায় লাল বাতি
অশ্রুসিক্ত চোখে ভাসিয়ে নিশানায় জেগে ওঠে রাতি।