১
তরুশাখা উপরে, শিখিনি,
কেনে লো বসিয়া তুই বিরস বদনে?
না হেরিয়া শ্যামচাঁদে, তোরও কি পরাণ কাঁদে,
তুইও কি দুঃখিনী!
আহা!কে না ভালবাসে রাধিকারমণে?
কার না জুড়ায় আঁখি শশী, বিহঙ্গিনি?
২
আয়,পাখি,আমরা দুজনে
গলা ধরাধরি করি ভাবি লো নীরবে;
নবীন নীরদে প্রাণ; তুই করেছিস্ দান—
সে কি তোর হবে?
আর কি পাইবে রাধা রাধিকারঞ্জনে?
তুই ভাব্ ঘনে ধনি,আমি শ্ৰীমাধবে!
৩
কি শোভা ধরয়ে জলধর,
গভীর গরজি যবে উড়ে সে গগনে!
স্বর্ণবর্ণ শক্র-ধনু— রতনে খচিত তনু—
চূড়া শিরোপর;
বিজলী কনক দাম পরিয়া যতনে,
মুকুলিত লতা যথা পরে তরুবর!
৪
কিন্তু ভেবে দেখ্ লো কামিনি,
মম শ্যাম-রূপ অনুপম ত্রিভুবনে!
হায়,ও রূপ-মাধুরী, কার মন নাহি চুরি,
করে,রে শিখিনি!
যার অাঁখি দেখিয়াছে রাধিকামোহনে,
সেই জানে কেনে রাধা কুলকলঙ্কিনী!
৫
তরুশাখা উপরে, শিখিনি,
কেনে লো বসিয়া তুই বিরসবদনে?
না হেরিয়া শ্যামচাঁদে, তোর কি পরাণ কাঁদে
তুই কি দুঃখিনী?
আহা!কে না ভালবাসে শ্রীমধুসূদনে?
মধু কহে, যা কহিলে,সত্য বিনোদিনি!