একজন বলে, তোমার অসুখ আছে, একটুও পারো না।
কী ক’রে পারবো? তুমি মনে করো এটা ব্লিটসক্রীক, লৌহ ও সোনা
দিয়ে প্রস্তুত আমার ট্যাংক; তুমি অসামান্য সৌন্দর্যমণ্ডিত,
তোমাকে দেখলেই আমি কামানের মতো হয়ে দ্বিখণ্ডিত
করবো তোমাকে। তোমার ঠোঁটের স্বাদে বগলের ঘামে
যখন পাগল হই তুমি শুধু নিজেকে ছড়িয়ে দিয়ে কামে
প’ড়ে থাকো কাদামাটি। কখনোবা যুদ্ধে ওঠো মেতে,
মহাযুদ্ধ চাও, তুমি লড়াই শিখেছো, আর আমি ধানখেতে
প’ড়ে থাকি ব্যর্থ রাখালের মতো। আরেকজন বলে, তুমি গীতিময়
কবিতার মতো, ছন্দমিলে অনবদ্য, তোমাকে যেটুকু সময়
পাই তা-ই তো জীবন; তুমি কদমের গন্ধ, ইস্কুলের চৈত্রের বকুল,
আমাকে জাগিয়ে তোলো, নিজেকে মনে হয় নামহীন ফুল
সুন্দরবনের, কাশবন, সরষে ক্ষেত, চাঁদ, আশ্বিনের নদী,
বয়ে যাই ধীরেধীরে, ঘোলা জলে, ঘূর্ণিপাকে, ইলিশে পাঙ্গাশে নিরবধি
পরিপূর্ণ হয়ে উঠি; তোমার রাজাধিরাজ দৃঢ়, মহাকবি, ধীরস্থির,
মধুসূদন দত্ত অমিত্রাক্ষরে লেখা কাব্য, মহাকাব্য হয়ে ওঠে আমার শরীর।
একজন বলে, তুমি তো পারো না, তুমি নপুংসক,
আরেকজন বলে, আমি তো রাখালি, তুমি ঘাসক্ষেতে রাখাল যুবক।