ডায়রির একটি কোনায় লালে লেখা “ভালো আছি”!
বিয়ে মানে বিক্রি!
মেয়ে বিক্রি –
না না মেয়ের বাবা কিছু পায়না
তার সবটা দেয়, হয়তো তার মেয়ে
এতে সুখী থাকবে।
কিন্তু সব বাড়ি তো আর…
ছোটো থাকতে কতো যত্ন
অভাব কি জিনিস? তখন বুঝতেই দেয়নি
এক মাত্র আদরের মেয়ের বাবা মা।
হয়তো এটাও তাদেরই দোষ?
বিয়ের পরে সেই মেয়ে
কি আদেও সেই সংসারে সুখী!
তবুও জীবনের ডায়রির একটা কোনায় লেখা “ভালো আছি” |
মেয়েদের স্বাধীনতা?
ও যে বিয়ের আগে অবধি,
বৌমা যে ঘরের লক্ষ্মী!
এ কথা এখন সবার মুখে মুখে,
তবুও কেন
উচ্চশিক্ষিত ভালো মেয়েরা
তাদের শ্বশুরবাড়িতে আজ মৃত্যুর দিন গুনছে?
কে জানে!
জীবনকে শেষ করা –
সম্মান, আদর, যত্নের
অভাবেই হয়তো …
কিন্তু এটাই কী সমাধান?
সে যখন তোমাদের ঘরের লক্ষ্মী
তখন তার আদর, যত্নে
অভাব কেন?
ডায়রির একটা কোনায় লালে লেখা “ভালো আছি” ।
কেনই বা সে তোমাদের
ঘরের মেয়ের মতোন স্বাধীনতা পায়না?
সবটুকু ছেড়ে সে যখন
তোমাদেরকেই নিজের পরিবার মানতে পারে,
তবে তোমরা তাকে মেয়ে ভাবতে পারবে না কেন?
কেনো তাকে আদ্যিকালের
বদ্দিবুড়ির মতোন সমাজের একটি ঘরে
কোনায় লুকিয়ে থাকতে হবে?
এ যে সমাজের নিয়ম,
মেয়ে আর বউমা তো এক হয়না!
লক্ষ্মী, সরস্বতী ওসব কথার কথা
এই সমাজে ঘরে ঘরে তা হয় নাকি?
সত্যি কি আমরা শিক্ষিত মূর্খ
নাকি অমানবিকতার মায়াজালে
আটকে পরা এক মাকড়শা?
জীবনের ডায়রি আজ হয়তো
অনেকের চিরস্তরে বন্ধ, কিন্তু
তাতে আজও কতোজন লিখে চলেছে
“ভালো আছি,
মা বাবার মুখ চেয়ে ভালো আছি!”