আমি নারী , অসাধ্যকে সাধন
করতে পারি
আমি দশভূজা রূপে দশপ্রহরণ-
নিয়ে অবিচার নাশ করতে পারি
আমি অন্যায়ের টুঁটি টিপে ধরে
সত্যের ধ্বজা উড়াবো পৃথ্বী ‘পরে
আমি ত্রিশূল হস্তে ধর্ষক করবো নাশ
নারীর লাঞ্ছনাকারীর করবো সর্বনাশ
আমি কৃপাণ হস্তে রুদ্রাণী বেশে
নরাধম সবে বধিব অক্লেশে
রাহাজানি,খুন,বিভেদ ,বৈষম্য
ঘুচায়ে দেশে আনিব সাম্য
সত্যধর্ম- ন্যায়ের সোপানে
ফেরাবো একতায় সর্বজনে
মান- জ্ঞান – হুঁশে মানুষ সবে
মৈত্রী -প্রীতির ঐকতান রবে
বিবেক – চেতনায় জাগবে সকলে
হিংসা – বিদ্বেষের আচ্ছাদন ফেলে
দশপ্রহরণের আছে অপার শক্তি
বুঝেনা যেজন অতি মূঢ়মতি
বিবেক-প্রদীপের পবিত্র আলোক
জ্যোতির্ম্ময় বিভায় ভরবে ত্রিলোক
মানবতার সুরধুনী বয়ে যাবে অন্তরে
ভালবাসায় চলবে সবে হাতে হাত ধরে
আমি নারী করুনা – মমতার অবিরল ধারা
বিশ্বজগৎ আমার স্বরূপে আপনি আত্মহারা
আমি আদি –অনন্ত ,আমার নেই অন্ত
ঋদ্ধজনেই জানে কেবল আমার গূহ্যতত্ত্ব
দশপ্রহরণে লুক্কায়িত অগনিত ইতিহাস
সহস্র জন্মের সাধনাতেই লদ্ধ কিছুমাত্র উদ্ভাস
আমি নারী ! আমিই দশভূজা, সৃষ্টি করি পালন
নারীসত্ত্বার অবমাননায় বহ্নিশিখায় নাশ করি ভুবন
আমি নারী ,স্নেহময়ী জননী ,প্রেমময়ী ভগিনী
সোহাগিনী কন্যা আমি ,শ্রীময়ী কল্যাণী ঘরনী
সুন্দর ,সুশীল ,সুশোভনের পালনকারী আমি
সৃষ্টির শুভাশুভেও আমার অধিকার দিনযামী
শ্রেষ্ঠ জন্ম লয়েও মানব ধায় অমানবিক কাজে
চন্ডিকারূপে দশপ্রহরণ আমার রুদ্ররোষে সাজে।