সন্ধ্যা নামে, নির্জন সন্ধ্যা এসে সমস্ত শরীর
ছোঁয়, হিম হয়ে আসে রক্ত,পাইন গাছের
মাথায় চিকন চাঁদ ওঠে ।
আমি দেখি ঝাউয়ের বনে ঠাণ্ডা হাওয়ার নিরিবিলি খেলা ,
এখানে অফিস ছুটিতে সময় কাটাই
ভালো লাগে অফিস কামাই করে বন্ধুর
কোয়ার্টারে বসে বসে জানলা দিয়ে
গ’লে যাওয়া সন্ধ্যা নামা দেখতে, হলুদ বিকেল
কী করে পিয়াসী হয়ে ওঠে, ভালো লাগে
জনান্তিকে…
শিলং পাহাড়ের সন্ধ্যার আড়ালেও কখনো উঁকি মারে সেই মুখ
নির্বিকার ; বাজরার খেত এখানে নেই
নেই সর্ষেফুলে ভরা মাঠ, আমি শাপলা তুলে
পরিয়ে দিতে পারব না, আমি ছোটবেলায় দেখেছি
তরমুজ খেত, আজ মনে পড়ে না সালেহাকে-
ওরা হারিয়ে গেছে ।
(স্বচ্ছ গ্লাসের বিনিময়ে ওরা আজ আর তরমুজ বিলোয় না,
বিলোয় না নিদেন ভালবাসা।)
সালেহার মত অনেক কিশোরীই ঢেউ খেলে
নেচে যেত ধানী জমিনের আল বেয়ে
ওরা আজ আর নেই, ওরা কখনো থাকে না
একভাবে;
শুধু একই ভাবে জেগে আছে এক আঁশশেওড়া
শিলং পাহাড়ে আমার মত এক নির্বোধ আঁশশেওড়া
খুঁজে পেয়েছি তাকে, তর্কে-বিতর্কে আমি তাকে
জড়িয়ে ফেলি, গালি দেই আদর করি, চুমু খাই–
ও নির্বিকার —
ছোটবেলায় দেখেছি বাবা এই আঁশশেওড়ার
ডাল কেটে ওষুধ বানাতো
ক্ষত শুকনোর ওষুধ,
আমি ভাবি আমার মত সবারই দরকার
এমন এক একটা আঁশশেওড়া
আজ আমি শিলং পাহাড়ে আঁশশেওড়ার
চাষ করব, ভরে দেব শিলং পাহাড়ের বুক
সঞ্জীবনী বটীতে ।