তোমার দয়ায় আজ লিখতে শিখেছি।
বর্ণপরিচয় তো তুমিই করিয়েছো।
তোমার সিংহ হৃদয়ে,দয়ার সাগর উথলে ওঠে,
অভাগী মেয়েদের জন্য।
আজ যে স্ত্রীশিক্ষার লহর, এর পথিকৃত তো তুমিই।
তোমারই হাত ধরে, নিরক্ষরতার অন্ধকার থেকে,
সাক্ষরতার আলোকে এসেছি,,,,
তোমাকে প্রনাম ॥
বালবিধবার অশ্রু তোমার হৃদয়ে শেল হয়ে বিঁধে ছিলো॥
তুমি চেয়ে ছিলে তাদের অশ্রুমোচন করতে।
”বিধবাবিবাহ ” আইন তারই ফল ,,,,,’,।
আমাদের ধর্মশাস্ত্র সমুদ্র মন্থন করে তুলে আনলে
”পরাশর সংহিতার” সেই মন্ত্ররূপ ”অমৃত”
”নষ্টে মৃতে প্রবরজিতে,ক্লীবে চ পতিতে পতৌ।
পচস্বাপতসু নারীনং পতিরণ্যো বিধয়তে॥”
(স্বামী মারা গেলে।সন্ন্যাস নিলে।নিখোঁজ হলে।
সন্তান গ্রহনে অক্ষম হলে।অধার্মিক ও অত্যা চারী হলে।পত্নী আবার বিবাহ করিতে পারে॥)
হে করুণা সাগর,দয়ানিধি
তোমায় জানাই আমার অন্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি,
নমি নমি চরণে॥