পিতামহ কিংবা পিতা করেন নি কৃষিকাজ, যদিও তাঁদের
চাষাদের বিষয়ে জ্ঞানের
অভাব ছিল না কোনো গ্রামীণ হওয়ার হেতু। আমি
জন্মেছি শহরে, তবু কিছু শুনে কিছু নিজে দেখে
পতিত জমিন আর চষা
ক্ষেতের ফারাক জেনে গেছি।
দেখেছি কী ক’রে রৌদ্রে পুড়ে
লাঙল চালায় ক্ষেতে কর্মঠ কৃষক, বীজ বোনে
ফসলের প্রত্যাশায়। যখন ধানের শীষ চোখ
মেলে নবজাতকের মতো,
কৃষকের চোখে ফোটে অগণিত তারা।
মেঠো ইঁদুরের উৎপাতে অথবা পঙ্গপাল
অকস্মাৎ হানা দিলে ক্ষেত্রের
কৃষকের বুক ফাটে আর
ঘোর অমাবস্যা নামে চোখে;
কৃষকের ভেতর প্রবেশ ক’রে এ-কথা জেনেছি।
কৃষিকাজ করি না, তবুও অনুরূপ কর্মে আমি নিবেদিত
বহুকাল। বর্ষণের করুণা এবং
খরার দারুণ স্বৈরাচার, ফসলের বিনষ্টির
অভিজ্ঞতা আমার অজানা নয়, যেহেতু আমিও শ্রমে ক্লিষ্ট
ভিন্নতর জমিন কর্ষণ করি, বীজ বুনি, আগাছা নিড়াই
গোলায় ফসল তুলি উদ্ভাসিত মুখে।