দীর্ঘ ভ্রমণের পর শ্রান্তি মোহিনীর মতো ভঙ্গি
অঙ্গে এঁকে অলস আঙুলে
দেখায় নিভাঁজ শয্যা, কানে কানে বলে, আর নয়,
এবার বিশ্রাম করো, কোনো কোলাহল
নেই কোনোখানে,
দায় আর ফুটে নেই গোলাপের মতো, যা তোমাকে
টেনে নেবে পথে সর্বক্ষণ, দরজাটা
বন্ধ থাক, এবার ঘুমাও।
সত্যি ক্লান্ত, বড় ক্লান্ত আমি আজ, উদ্যম রহিত;
কোনো কা, এমনকি কারুকাজ করা
অত্যন্ত কঠিন মনে হয়, উৎসাহের
ভাণ্ডার উজাড় হলো অবশেষে? তাহলে নিঃসাড়
নিঃস্পন্দ থাকবো পড়ে এক কোণে একা
বৃদ্ধ অর্জুনের মতো হীনবল যে ভুলেছে গান্ডীবে টংকার
তোলার কৌশল? দেখ, দু’পায়ে আমার
ফুটেছে চুণির মতো রক্তবিন্দু। মুছে যাবে কবে?
শ্রান্তি কিংবা ভ্রান্তি দিক পেতে সিল্ক মসৃণ চাদর,
কাউকে জড়িয়ে আমি নিমজ্জিত হবো না নিদ্রায়।