আমি এক বারবণিতা
দিনের আলোয় পথে-ঘাটে-হাটে-বাজারে
সব্বার পরিহাসের বস্তু!
সংসারী গৃহিণীরা থুথু ফেলে আমায় দেখে
আর কর্পোরেট পুরুষরা ঘেন্নার বাঁকা হাসিতে আঁড়চোখে চেয়ে দেখে আমায়-
হ্যাঁ,তবু আমি বুক ফুলিয়ে বলছি
আমি এক বারবনিতা
তথাকথিত রেডলাইট এলাকার চোরাগলিতেই আমার বাস
সকালে বাজার-রান্না আর ঘরের জঞ্জাল সাফ করি-
সন্ধ্যায় আকর্ষণীয় শাড়ী প্রসাধনী পারফিউমে নিজেকে অপরুপা করে তুলি-
তারপর বেরিয়ে পড়ি চোরাগলির আলো আঁধারি পথে-
হুইস্কির গ্লাসে ঠোঁট রাখা কর্পোরেট পুরুষ হতে বস্তির চুল্লুখোর
সবাই তখন ওয়ালেট ভরা টাকা নিয়ে ক্ষুধার্ত চোখ বোলায় আমার মায়াবী শরীরে!
আমার ঘরে শূচীতার আলো জ্বলে না!
আবছা লালবাতির আলোয় নিত্য অপবিত্র হয় আমার দেহ
আমার ছেঁড়া রূপকথার অচেনা রাজাদের ঔরসে রোজ ভাসি আমি কলঙ্কের পালঙ্ক শয্যায়!
আমার অর্ধমৃত শরীরে
রোজ ফুটে ঝরে যায় নিশিপদ্মের কুঁড়িরা..
আবার নতুন ভোর আসে!
আবার নতুন করে বেঁচে উঠি আমি
যুগ-যুগান্তের নিশিপদ্ম গাছ হয়ে…