পুরুষ শাসিত সমাজ, যেখানে নারীকে বলা হয়
পুরুষের অর্ধেক অঙ্গ। অর্থাৎ অর্ধাঙ্গিনী।
কত সম্মানে সম্মানিত নারী।
ভীষণ হাস্যকর !
আর নারী পুরুষদের দেওয়া এই মৌখিক সম্মানে
বিগলিত হয়ে নিজেদের উৎসর্গ করছে প্রতিনিয়ত।
আচ্ছা,সত্যিই কি নারী সেই সম্মান পায়!
না,পায় না , তারা কোনো সম্মানই পায়না।
পেলেও গুটিকয়জনের কাছে।
আচ্ছা, নারী যদি পুরুষের অর্ধেক অঙ্গ —
তবে তাদের প্রতিনিয়ত মানষিক যন্ত্রনা
সহ্য করতে হবে কেন?
কেন তারা নিজেদের সমস্ত স্বাধীনতা বিসর্জন দিয়ে
পুরুষের পায়ের তলায় থাকতে বাধ্য হবে?
নারী যদি পুরুষের অর্ধেক অঙ্গ–
তবে তারা কেন পুরুষদের মতো সব রকমের স্বাধীনতা পাবে না?
তারা কেন একটু নিজের জন্য, নিজেকে নিয়ে বাঁচতে পারবে না?
কেন তারা প্রতি পদে পদে অপমানিত, লাঞ্ছিত হবে?
কেন তাদের শুধু পন্য করে রাখা হবে?
কেন তারা কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবে না?
কেন! কেন তারা সব কিছু আপন করে নিয়েও তাদের
শুনতে হয় — ” তারা স্বার্থপর” !
সত্যিই কি নারী স্বার্থপর?
নারী যখন পুরুষের অর্ধেক অঙ্গ বা অর্ধেক জগৎ —
তবে পুরুষেরা যে স্বাধীনতা,সুযোগ সুবিধা ভোগ করে
নারীদের ও সেই স্বাধীনতা,সুযোগ সুবিধা পাওয়ার
অধিকার থাকবে!
এই গুলো যদি না হয় তাহলে কোনো প্রয়োজন নেই
নারীদের পুরুষদের অর্ধেক অঙ্গ বা অর্ধেক জগৎ হবার!
যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্বই নেই,
সেই মৌখিক সম্মানের কোনো প্রয়োজন নেই।