দুগ্গা ফিরে চললেন কৈলাসের পথে
লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, আর সরস্বতী সাথে।
কার্তিকের মোটে ইচ্ছে নেই মায়ের সাথে যাবার!
তার ইচ্ছে মর্তের মানুষগুলার স্টাইল শিখে নেবার।
পুজো শুরু ‘বাজলো তোমার আলোর বেনু’ দিয়ে..
দশমীতে মাইকে বাজে ‘মুন্নি বদনাম হুঁই ডার্লিং তেরে লিয়ে’..
তার সাথে জবর নাচ ঢ্যাংকুড়াকুর তালে
মাঝে মাঝে ছাড়ছে গলা ‘দুর্গা মাইকি’ বলে!
মেয়েগুলোর মিনি স্কার্ট,ক্রপ টপ গায়,
ম্যাচিং করা হাই হিলের স্টিলেটো পায়।
মন্ডপে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে কার ভাল্লাগে এসব দেখতে
মনটা ছটফট করে ওদের সামনে এগিয়ে যেতে..
মা’র বকুনির ভয়ে মন্ডপে দাঁড়িয়ে ড্যাব ড্যাব করে চায়!
সরস্বতী সব জানে, মুচকি মুচকি হাসে আর কার্তিকের দিকে তাকায়!
মা কৈলাসে যায় যাক, আমি আর কটা দিন থাকবো;
মানুষ গুলোর কাছ থেকে স্টাইল টা ভালো করে শিখে নেব।
গণেশটার তো ভুঁড়ি পেট তার উপরে গজের মুখ,
স্টাইলটা পারে না বলে ওর বড় দুখ!
ছেলেরা চায় কার্তিকের মতো চেহারা সুন্দর।
মেয়েগুলো বাবার মাথায় জল ঢালে,
আমার মত চায় বর!
আমি মোটেই এখুনি যাচ্ছি না কৈলাসে
সব শিখে রপ্ত করে তবে যাবো ও দেশে।
মা যাচ্ছে যাক, গণেশ আর সরস্বতী কে নিয়ে
লক্ষ্মীর ও তো কদিন পরেই আসতে হবে গিয়ে।
ও যা লাজুক, ওকে নিয়ে বড্ড ঝামেলা;
লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে কিনা বায়নাক্কা মেলা।
আটপৌরে শাড়ি পরবে, পায় আলতা রাঙিয়ে..
গুটি গুটি হেঁটে যাবে ধানের ছড়া দিয়ে!
আমি বাপু পারবো না লক্ষ্মীকে সামলাতে
আমার বলে বড্ড তাড়া স্টাইল শিখে নিতে!
কৈলাস গিয়ে সব্বাইকে তাক লাগিয়ে দেবে
রূপে নয় শুধু, স্টাইলেও কার্তিকেরই জয় হবে।