দুর্গা মা!তোর পায়ে পড়ি,এই মিনতি রাখি
সময় করে পড়িস চিঠি ,দিসনে মা, তুই ফাঁকি
শিউলি ফুলে শরৎ হাসে মাগো, তুই আসবি বলে
সন্তানেরা পথ চেয়ে র’য় —–আকুল অশ্রুজলে
নিজহাতে মা করলি সৃজন ,শ্যামল বসুন্ধরা
আঁতকে ওঠি দেখলে মা তুই- হ’বি বাক্যহারা
পৃথিবীটা আজ ধুঁকছে মাগো সময়ের যাঁতাকলে
কেউবা সেঁকছে লোভের রুটি, কেউ ভাসে অশ্রুজলে
নর—পিশাচে ছেয়ে গেছে গো—এই পৃথিবীর মাটি
পুঁতিগন্ধ ধরাধামে মাগো,কেমন করে হাঁটি ?
মনুষ্যত্ব–বিবেকবোধের লেশমাত্র যে নাই
দুর্গা মা! তোর পায়ে পড়ি– বিচার এর চাই
নারীর মান ধূলোয় মেশে–শিশুর বেলাও তাই
ত্রিনয়নের অগ্নিবাণে মা! করিস এদের চাঁই
তোর সন্তান কেউ ভিখিরী কেউ বা মন্ত্রী –নেতা
আম–জনতার দুঃখ বাড়ে–কেউ ধরেনা ছাতা
ও মা! নেতা–মন্ত্রী–আমলার পসার — ঠাটবাট
ক্ষুধার্ত গরীবের মাগো–পকেট গড়ের মাঠ
অদ্ভুততরো আজব কান্ড দেখবো কতো আর ?
রুদ্রাণী ! তোর রুদ্ররূপে করিস সংহার !
বিবেক দুয়ার বন্ধ যাদের খুঁচিয়ে তোল ত্রিশূলেতে
লোভ–হিংসা–পশুত্বকে নাশ করে দে্ খড়্গহাতে
তোর আশীষে সাম্যভাবে সৃষ্ট যদি গো মানুষ
বৈষম্যের পাঁচিল ভেঙ্গে আন্ ফিরিয়ে হুঁশ
ঠিক জানি মা, তুই এদেরে পারবি মানুষ করতে
সর্বজয়া কল্যাণী!তোর মহিমা,কে পারে মা বলতে?
পত্রশেষে,তোর কাছেতে —-আরো একটা দাবী
আমার ছেলেমেয়েকে মা——দিস সুখের চাবি
মনুষ্যত্ব-সম্প্রীতি–একতার বীজ দিস মা বুনে
‘মানুষ ‘ — যেন হয় ওরা মানবতার গুণে
নিসনে্ আমার অপরাধ মা ! রাখছি তোকে বলে
ব্যাকুল মনে প্রহর কাটে ,আয়না ,মাগো চলে—-