মানুষ –প্রকৃতির সবচেয়ে উন্নত প্রাণী ।
যার মধ্যে মান আর হুঁশ এই দুটো বিদ্যমান
তাকেই মানুষ বলা হয় ।
আর দ্বিতীয় টি হল -মানুষ শব্দের লিঙ্গ ভেদ হয় না
শব্দটি উভলিঙ্গ ।
ঈশ্বর যখন মানুষ সৃষ্টি করেছেন তখন এগুলোর কথা
ভেবেই করেছিলেন হয়তো !
এখন তোমরা বলবে, “হয়তো “বলছি কেন!
কারণ ঈশ্বর যে অর্থে মানুষের সৃষ্টি করেছেন
সেই অর্থে মানুষ কে মানুষ বলা যায় কি!
আচ্ছা মানুষের মধ্যে কি মান – হুঁশ
এই দুটি শব্দ বিদ্যমান ?
আমার তো মনে হয় না
তবে যাদের মধ্যে আছে এই দুটি শব্দ তারা সংখ্যায়
খুবই নগন্য
আর মানুষ রূপী অমানুষরা তাদের কোণঠাসা করে রাখে
কখনো কখনো তাদের পাগল প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে।
এবার আসি দ্বিতীয় ব্যাখ্যায় –
মানুষ শব্দের লিঙ্গ ভেদ নেই ।
কিন্তু আমরা দেখি, শুনি বা বলা যায় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছি ,
শুধুমাত্র যারা পুরুষ, তারাই মানুষ।
আর নারী ? সে তো শুধুই নারী!
মানুষের তালিকায় ওরা পড়ে না!
তাই মান -হুঁশ এগুলো তাদের মধ্যে থাকার প্রশ্নই আসে না ।
নারীর আবার মান -হুঁশ!
ওরা তো শুধুমাত্র পুরুষের থুড়ি ভুল বললাম
পুরুষ যারাই একমাত্র মানুষ হওয়ার অধিকার অর্জন করেছে
তাদের নিজস্ব সম্পত্তি।
না আছে তাদের বাক্ স্বাধীনতা আর না আছে তাদের
নিজের মতো করে বাঁচার অধিকার।
পুরুষেরা ওদের যেভাবে চলতে বলবে ওরা ঠিক সেই ভাবেই
চলতে বাধ্য।
তাই একটা প্রশ্ন থেকেই যায়, সত্যিই কি মানুষ আছে পৃথিবীতে?