কুমারী মেয়েরা, কবিতা পড়ো না, বিপদে পড়বে
যে-বয়সে মেঘ বেশি ডাকে তার আকাশ অন্য
কবিতার বই ভুলেও ছুঁয়ো না, আঙুল পুড়বে
কবিরা নিজেরা স্বেচ্ছায় জ্বলে লেখার জন্য।
সিঁড়ি দিয়ে দুদ্দাড় করে উঠে হঠাৎ দাঁড়িয়ে
কী শুনলে তুমি? কে যেন ডাকছে অচেনা গলায়
কেউ নেই তবু হাওয়াও জড়ায় দু’ হাত বাড়িয়ে
মেঘ ভাঙা চাঁদ তোমাকে ভোলায় ছলায় কলায়।
যারা কাছাকাছি, সব বড় চেনা চোখের চাহনি
এক এক সময় স্নেহ তেতো লাগে, দপ করে জ্বলো
যখন যা আসে সব ভুল, তুমি কিছুই চাওনি
বাথরুমে গিয়ে আয়নার ঠোঁটে সব কথা বলো।
কুমারী মেয়েরা, কবিতা পড়ো না, ছুঁয়ো না ও বই
ছেলেরা পড়ুক, চিঠিতে দিক না খাসা উদ্ধৃতি
বুঝে বা না বুঝে বন্ধুরা মিলে করো রৈ রৈ
কোনো একদিন সেই হাসিটাই হয়ে যাবে স্মৃতি।
যে-সব নারীরা আড়ালে, অচেনা নদীর মতন
কবিরা তাদেরই মূর্তি গড়ার ভাষা খুঁজে মরে
তাদের লুকোনো দুঃখে থাকে না ছন্দপতন
নির্মাণ খেলা সারাটা জীবন কালো অক্ষরে।
কুমারী মেয়েরা, বিপদটাকেও আচারের মতো
চেখে নিতে চাও চকিতে একলা দুপুরের দিকে?
চাখে তবে, দায়ী করো না কিন্তু, হও সম্মত
এমন মধুর সর্বনাশের জন্য কবিকে!