একটি চাতক তার ধর্ম ভুলে কর্দমাক্ত দীর্ঘিকার জল
পান করেছিল, তাই আমি তাকে মৃত্যুহীন তৃষ্ণার আঙুলে
সামান্য শরীর ঘিরে পরিয়েছি অনন্তের কঠিন শৃঙ্খল
একান্তে রেখেছি তাকে এক রমণীর বুকে, বন্ধ দ্বার খুলে ।
সেই বন্ধ দ্বারে যেন বন্দী আছে নরকের তীব্ৰ অন্ধকার
তীক্ষ্ণ আর্তনাদ ভরে সেখানেই থাকি সেই ধৰ্মভ্রষ্ট পাখি
আমার খেয়ার নৌকো ঘুরে ঘুরে আসবে আর যাবে বারংবার
শস্যহীন প্ৰান্তরের মতো শুধু রাত্রিদিন সে রবে একাকী ।
সেই রমণীর স্তনে কখনো শিশুর মতো করবো বিষপান
আশঙ্কায় কেঁপে উঠবে তার দুই জঙ্ঘা আর ক্ষীণ কটিদেশ
এক হাতে মৃত্যু আর অন্য হাতে জীবনের লুষ্ঠিত সম্মান
নিয়ে, তাকে দেবো। আমি সুখ দুঃখ বিস্মৃতির নিবিড় আশ্লেষ ।
কান্নায় কান্নায় ভরে কাঁপবে পাখি, বেজে উঠবে কঠিন শৃঙ্খল
যখন সন্ধ্যার মেঘে বিদ্যুতের শিখা জ্বলবে, ঝরবে ধারাজল ।