নায়ক শহরে কোনো এক মসীপণ্য
দিনের প্রকৃতি মুছে গেছে তার চোখে
সেই অভিমানে সেও মিলে গেল পথে অগণ্য লোকে
অকৃপণ হাতে সময় ছড়ালো তার ;
সংসার তাকে করেছে ছিন্ন ভিন্ন
তীব্ৰ নখরে চিহ্ন এঁকেছে দেহে
সোনার প্রভাত কোনোদিনও তাকে দেখলে না সস্নেহে
তাই সে দু’চোখে ছবি আঁকে সন্ধ্যার ।
পাখিও তো নয়, সন্ধ্যায় পাবে মুক্তি
খড়কুটো আর উষ্ণ বুকের নীড়ে,
অরণ্য নয় লুকোবে নিজেকে, চেনা মানুষের ভিড়ে
তৃণের মতন ভাসে সময়ের স্রোতে !
দিনের আলোকে জমে জীবনের মুক্তি
ক’জন মানুষ পায় তার সন্ধান ?
তবু অনেকেই খুঁজে খুঁজে করে জীবন ছাত্ৰাখান
কেউ যায় দূরে সাগরে বা পর্বতে ।
আমার নায়ক চায়নি বাঁচার দ্বন্দ্ব
ছোট সুখ থেকে ঐশ্বর্যের আশা,
মহাকাব্যের নায়কের মতো কেড়ে নিয়ে ভালোবাসা
বাঁচতে চায়নি সে কখনও মনে মনে ।
সে শুধু চেয়েছে পরিচিত কোনো ছন্দ
লিরিকের মতো চেনা শব্দের সুর
রাত্রে যখন বাড়িতে ফিরবে মনে হবে বহু দূর
নিজের সঙ্গে দেখা হবে নির্জনে ।
তখন সে পাবে অচেনা দিঘির মৌন
হৃদয় গভীর অবসরে সমতল
হয়তো শুনবে নিজের রক্তে রাত্রির চলাচল
আঁধার সাগরে কখনও ডাকবে বান ।
মেলাবে দুঃখ, মুখ্য কিংবা গৌণ
শিমুল শাখায় প্রতীক বাসনা ঝড়ে–
বৃষ্টিতে আর হাওয়ার দাপটে ফুটবে নানান স্তরে,
কোনো কুমারীর শরীর করবে পান।