চাকরি পাবে মোহনকুমার সবকিছু ঠিকঠাক
প্রথম দিনেই আছাড় খেয়ে নাক ফুলে জয়ঢাক!
দু দিন বাদে অফিস গেলে কী হল তার দশা?
নাক-সরু এক স্বপনকুমার তার চেয়ারে বসা!
কেন এমন হল, আহা, কেন এমন হল
কোন দোষে হায় মোহনবাবুর চাকরিখানা গেল?
রকেট চালিয়ে বাঙালির ছেলে পাড়ি দেবে নাকি চাঁদে?
বিজয়কুমার পুরোপুরি রেডি, তবু কি ফ্যাসাদ বাধে?
জুতোয় একটা পেরেক উঠেছে, সে খেয়াল নেই তার
বেলুনের মতো ফোস্কা পড়ল পায়ে জুতো রাখা ভার
খালি পায়ে কেউ চঁাদে যায় নাকি, রকেট নিল না তাকে
বিজয়কুমার ফ্যালফ্যাল করে আকাশে তাকিয়ে থাকে!
কেন এমনটি হল যে আহা রে, কেন এমনটি হল?
বাঙালির কত নাম হত, তবু সুযোগ ফস্কে গেল!
লটারিতে ফার্স্ট প্রাইজ পেয়েছিল পুঁটিরাম
এইটুকু কাগজের পাঁচ লাখ টাকা দাম!
আহ্লাদে আটখানা হয়ে নাচে ধেই ধেই
টিকিটটা হাতে নিয়ে রাস্তায় নামে যেই
কোথা থেকে ঝড় এল, পুঁটিরাম নিঃস্ব
টিকিটটা পাখি হয়ে হল অদৃশ্য।
হায় হায় একী হল, এমনটি কেন হল?
পুঁটিরাম ভ্যাবারাম, সব টাকা জলে গেল!
উত্তর: সাড়ে এগারো বছর বয়েসে পর পর দু দিন তিনতলার
জানলা থেকে রাস্তায় আমের খোসা ছুঁড়ে ফেলেছিল কে?
মোহনকুমার, আবার কে?
দশ বছর তিন মাস বয়েসে একটা বেড়ালছানার গায়ে আলপিন
ফুটিয়ে দিয়েছিল কে? বিজয়কুমার, আবার কে?
তেরো বছর পাঁচ মাস বয়েসে এক বন্ধুর একটা ডিটেকটিভ গল্পের
বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা চুপিচুপি ছিঁড়ে দিয়েছিল কে? পুঁটিরাম, আবার কে?
এতদিন পর সেই রাস্তা, বেড়ালছানা ও বই প্রতিশোধ নিল।