‘ তোমার বীণায় সব তার বাজে ,
ওহে বীণকার ,
তারি মাঝে কেন নীরব কেবল
একখানি তার । ‘
ভবনদীতীরে হৃদিমন্দিরে
দেবতা বিরাজে ,
পূজা সমাপিয়া এসেছি ফিরিয়া
আপনার কাজে ।
বিদায়ের ক্ষণে শুধাল পূজারি ,
‘ দেবীরে কী দিলে ?
তব জনমের শ্রেষ্ঠ কী ধন
ছিল এ নিখিলে ?’
কহিলাম আমি , সঁপিয়া এসেছি
পূজা-উপহার
আমার বীণায় ছিল যে একটি
সুবর্ণ-তার ,
যে তারে আমার হৃদয়বনের
যত মধুকর
ক্ষণেকে ক্ষণেকে ধ্বনিয়া তুলিত
গুঞ্জনস্বর ,
যে তারে আমার কোকিল গাহিত
বসন্তগান
সেইখানি আমি দেবতাচরণে
করিয়াছি দান ।
তাই এ বীণায় বাজে না কেবল
একখানি তার —
আছে তাহা শুধু মৌন মহৎ
পূজা-উপহার ।