ব্যাংকের পাস বুকে অথবা রাতের দুঃস্বপ্নে
যেনো শাসন করে চলে এক উলঙ্গ দানবী,
নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্রাস করে চলে সে
আমাদের সুখ-অনুভবকে,
প্রতিটি ছোটো বড়ো পদস্খলনে।
এক অদ্ভুত নির্মম শিল্পকর্মের পদচিহ্ন রেখে দিতে চায় আত্মার গায়ে, আর প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিষাদমাখা
সিম্ফনির সুর তুলে পতিতার পরিচয় বুকে সাজিয়ে
ভেসে বেড়ায় উপন্যাসের মুখ্য চরিত্র হিসেবে
জীবনমুখী গল্পের পাতায় পাতায়।
এমনি করেই ব্যক্তি জীবনে বিষণ্ণতার পোকারা
সাধু-শয়তানের দ্বন্দ্বে অথবা শিল্পী হবার তাড়নায়
উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত।
তারা কখনও রং-চটা পিচ-গলা পঙক্তিতে ,
কখনও নিউমোনিয়াতে,
কখনও প্রত্যন্ত রেলস্টেশনে আবার কখনোও
স্নায়ুযুদ্ধে ভ্রান্তির ছলনে সুইসাইড নোটে,
চরম একাকীত্বের সৌন্দর্য্য চর্চায় প্রশংসা কুড়ায়।
আর রুগ্ন-জীর্ণ-মুহ্যমান ব্যালট বক্সে
আজীবন বন্দী থেকে যায় সুস্থ চেতনারা।