পয়সা দিলে নারীর শরীর
পাব সে তো জানি
মনের হদিস হায় পাবোনা
সেটা বটেই মানি!
পতিতালয়, জানি সেথায়
অনেক নারী থাকে
অর্থ কিছু ফেললে যে ভোগ
একে – ওকে – তাকে!
পূর্ণ তৃপ্তি যৌনতাতে
নিশ্চিত সে ধনে
কিন্তু বিশাল ফাঁকটি থাকে
শরীরে ও মনে!
যন্ত্র যেমন কাজ করে গো
একটুও ছেদ নাই
বারবনিতার শরীরী প্রেম
পূর্ণরূপে তাই!
কেউ বা আবার পুরুষ ডাকে
রূপেতে হায় ভুলে
সেখানেও যে মনটা তারা
শিকেয় রাখে তুলে!
যেই না হয় পূর্ণ মিলন
শরীর পেলে তাই
তারপর? আর টিকিটি নেই
পূর্ণ ” টাটা বাই! “
রাস্তাতেও সে ” বন্ধুতার “
অমর্যাদা করে
” কে আপনি? চিনি না তো! “
এমন অস্বীকারে!
তখন বুঝি শরীর বটে
সত্যি বলেই কথা
মনের হদিস? কোথায় সেথা?
নেই যে তার অন্যথা!
আমারও তো ইচ্ছে করে
শরীর ভোগ করি
কিন্তু তাতে বড্ড সখী
অনীহা বোধ করি!
হয়তো বা কেউ রাজি হলেও
তা করতে কেবল খুশি
তারই মাঝে মনটা খোঁজা
সদাই করে দোষী!
সঙ্গমেতে নারী পুরুষ
পূর্ণতাটা পায়
শরীর মনের যুগলবন্দী
এক রাগিণী গায়!
কিন্তু কেবল অর্থটা যে
শরীরটুকুই দেয়
শরীর পেলেও মনটা পাওয়া
অপূর্ণই যে রয়!
আমি জানি অনেক পাবো
শরীর, দিলে টাকা
যদি বলি ” মনটাও চাই” –
বন্ধ প্রেমের চাকা!
শরীর পাওয়া মনের সাথে
এমন কি আর হয়?
প্রৌঢ়তাকে সাক্ষী মানি
তা যে হবার নয়!
ভালোবাসা অনেক পেলাম
প্রেম হলো গো কই?
ভালোবাসা প্রেমে যদি
” মন্দ ছেলে হই?”
পুরুষরা সব স্বার্থে তোমায়
“মন্দ মেয়ে” কই
কজন পুরুষ বলতে পারে
” মন্দ ছেলে হই! “
খুব কি আমি খারাপ হবো
দুয়েরই যোগ হলে?
“মন্দ মেয়ে” বাসলে ভালো
হবোই ” মন্দ ছেলে “