(গদ্য)
চিরদিনের মতো ঘুম পাড়িয়ে দে মা,
নতুন করে মা হবি,তোর সোহাগ ভরা কোলে ,
চাঁদ মুখের ওই মধুর হাসি,
তোর স্নেহভরা হাতের পবিত্র স্পর্শে –
আমার বাঁচা,মরা সার্থক হোক জীবন।
(পদ্য)
ঘুম ভাঙাস নে মা আমার স্বপ্নভরা চোখে,
খুঁজছি ছেলেবেলা এখন তোর বার্ধক্যের বুকে।
সমস্ত ভয় সরিয়ে দিয়ে স্বপ্নে শুনি গান-
“খোকা ঘুমাল” শব্দগুলো হয়না যেন ম্লান।
আবার না হয় করলি আদর,করালি স্নেহের স্নান।
(গদ্য)
বিতৃষ্ণায় ভরে যায় মন বিপন্ন বসুধা-
অস্থিরতা,অসহায়তা,কুড়ে কুরে খায় জীবন।
নষ্ট সময়,নষ্ট মনের বীভৎস দাপাদাপি,
আমি যেন আদান্ত এক পরাজিত মানুষ।
এখন ক্রমেই হারিয়ে ফেলি স্বাভাবিক বাকস্পন্দ।
(পদ্য)
ওমা তোর চরণদুটি ধরি,আহা মরি,মরি,
তোর পক্ক অলোক,রাঙিয়ে কালো,মাতৃরুপ গড়ি।
তোর বুক ভরা ধন স্নেহ,শাসন, আমায় ফিরিয়ে দে,
সৎ,নিঃস্বার্থ মানুষ করায় মাতবি আনন্দে,
ত্যাগের ধর্ম,মানুষ আপন,বোঝাবি নব ছন্দে।
(গদ্য)
পাষানে বুকে বেঁধে অব্যক্ত শব্দে লিখে যাই-
কবির কলমে আঁচড় কেটে যাই অন্যায়ের প্রতিবাদ।
আমার অক্ষরে হোক বারুদ ভরা গান,বিস্ফারণ জনজীবনে,
আমার কবিতা হোক বিক্ষুব্দ শানিত তলোয়ার-
আমার প্রতিটি শব্দই হোক সত্যপ্রকাশের অভিপ্রায়।