স্বাধীনতা কালে কত না নারীর নীরবে জীবন
গিয়েছে চলে,
কতজন বলো রাখে সে খবর, হারিয়ে যারা
গিয়েছে অকালে!
তেমন এক নারী, নন্দীগ্রামের বারবনিতা সে
নাম তার সত্যবতী,
গান্ধীজির সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগদানে তিনি
হয়েছিলেন ব্রতী।
স্কুল-কলেজের ছাত্রদের ওপর চলত যখন
বৃটিশের উৎপীড়ন,
নিষ্ঠুর সেই অত্যাচারে তাঁর মায়া হতো দেখে
পুলিশি নির্যাতন! ।
অসহায় নারী নিরুপায় হয়ে আহতের নিল
শুশ্রুষার ভার,
প্রাণ কাঁদে যার,দেখে শুনে তাঁর,বৃটিশ পুলিশের
নিষ্ঠুর অত্যাচার!
একদা নিজে চলে সে গেল সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দিতে,
বৃটিশ-পুলিশ লাঠি পেটা করে আঘাত হানে
তাঁর জরায়ুতে।
অজ্ঞান-সেই সত্যবতীকে আনা হলো তাঁকে
হাসপাতালের ঘরে,
দীর্ঘ দিন ধরে, চিকিৎসা পরে বেঁচে যায় সে
কপালের জোরে।
সুস্থতা শেষে অসীম সাহসে যোগদান করে
আবার আন্দোলনে,
কতজনে জানে স্বাধীনতাকামী-কে মনে
রাখেন বা কতজনে?