ধাতুতে নির্মিত, ধাতু আর শোভাময় ধাতু; চতুর্ধারে
ধাতুর উৎসব। সবুজ মাংসের মাছ, রূপভারাতুর
লতাগুল্ম নেই; মধ্যরাতে চৌরাস্তায় স্বপ্নাঢ্য ধাতুর
ঝর্নাস্রোতে গুচ্ছগুচ্ছ সোনা ঘিরে ধরে গোলাপি তামারে।
ইস্পাতশাণিত নদী, ধাতব চাঁদের ব্রোঞ্জের জ্যোৎস্নায়
পারদপ্রতিম জলে একটি মর্মর পদ্ম,–দীপ্ত, স্থির
নর্তকীশরীর থেকে খসে শুদ্ধ হীরকখচিত নাচ
স্থির হয়ে ছুঁয়ে আছে তন্বী নর্তকীর স্বর্ণের শরীর।
বিমল স্ফটিক বাহু ঢেউয়ে এগিয়ে আসে, মেলে ধরে
অবিনাশী ব্রোঞ্জের কঠিন কোমল আলিঙ্গন,
রৌপ্যের মসৃণ চুল ঢাকে মাঠ পাহাড় আকাশ,
দুই ওষ্ঠ ঢেলে দেয় ব্যাপক অশান্ত তীব্র অভ্রের চুম্বন।
রুপো ছানে সারাদিন তন্ময় ভাস্কর, শক্ত ধাতু থেকে
ন’ড়ে ওঠে শুভ্র বাহু নীল চোখ, কালো পর্দা ফাড়ি
দক্ষিণ দিগন্তে ঘষে ঠোঁট ঠেকিয়ে ধাতব স্তনরেখা
সামনে দাঁড়ায় নগ্ন কুমারী রৌপ্যের এক নারী।
ধাতুর ঝঙ্কার শুধু শোনা যায়, সর্বত্র কেবল ঝলে
লোহা-সোনা-রুপো আর ব্রোঞ্জের রূপ, ধাতব বাতাস,
পলি নেই লতাগুল্ম নেই, ধাতুমগ্ন লাবণ্যপুরীতে
স্ফটিকে রচিত দুঃখ দস্তায় বাঁধানো ব্যাপক আকাশ।